পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
ভানুসিংহের পত্রাবলী

নবগরড থেকে বেচুয়ানাল্যাণ্ড থেকে সদাসর্ব্বদা লোক-আসা বন্ধ হ’য়ে যেতে পারে।

 লেভি সাহেব আমার বন্ধু হ’য়েও তোমার কাছে হেমনলিনীর কথাটা ফাঁস করে দিয়েচেন, এতে আমি মনে বড়ো দুঃখ পেয়েচি—এ কথা সত্য-যে, আমি তা’রই সাধনায় প্রবৃত্ত আছি। কিন্তু সেই স্বর্ণশতদলের পাপ্‌ড়িগুলি হচ্ছে bank notes। সাধনায় বিশেষ-যে সিদ্ধিলাভ ক’র্‌তে পেরেচি—তা মনেও ক’রো না, তোমরা কামনা ক’রো এই হেমনলিনী যেন আমার পাণিগ্রহণ করেন। কিন্তু কপালক্রমে আমার পঞ্জিকায় অকাল প’ড়েচে—শুভলগ্ন আর আসেই না, তাই গান গাচ্চি—

ওগো হেমনলিনী
আমার দুঃখের কথা কারো কাছে বলিনি।
লক্ষ্মীর চরণতলে ফুটে আছো শতদলে
সে-পথ করিয়া লক্ষ্য কেন আমি চলিনি?

ইতি ১০ ফাল্গুন, ১৩২৮।