বাঁশী কাট্বে সকল বেলা।” ওর মধ্যে একটা উপনন্দ কাজ ক’র্চে, কিন্তু সেও তা’র ঋণ থেকে ছুটি পাবার কাজ।
তোমরা যখন ছুটি পাবে, আমরা তখন বোম্বাই অভিমুখে রেলপথে ছুট্চি। কিন্তু সে-পথ মোগলসরাই দিয়ে যায় না, সে হ’চ্চে বেঙ্গল নাগপুর লাইন। তা’রপরে বোম্বাই হ’য়ে মাদ্রাজ, মাদ্রাজ হ’য়ে মালাবার, মালাবার হ’য়ে সিংহল, সিংহল হ’য়ে পুনশ্চ বোম্বাই। এমনি বোঁ বোঁ শব্দে ঘুরপাক খেতে খেতে অবশেষে একদিন নভেম্বর মাসের কোন্ তারিখে শান্তিনিকেতনে এসে একখানা লম্বা কেদারার উপর চিৎ হ’য়ে প’ড়্বো। তা’রপরেই আবার শুরু হবে সাতই পৌষের পালা। তা’রপরে আরো কত কী আছে তা’র ঠিক নেই। ছুটির নাটক লিখ্লেই কি ছুটি পাওয়া যায়? আমি ইস্কুল পালিয়েও ছুটি পেলুম না, ইস্কুলের আবর্ত্তের মধ্যে লাটিমের মতো ঘুর্তে লাগ্লুম। অঙ্ক ক’ষতে ঢিলেমি ক’র্লুম, আজ চাঁদার অঙ্কের ধ্যান ক’র্তে ক’র্তে আহার নিদ্রা বন্ধ। ইংরেজি প্রবাদে এই রকম ব্যাপারকেই ব’লে থাকে ভাগ্যের বিদ্রূপ।