বৃষ্টির মধ্যেও তাদের সংগ্রহ ক’রে আনা গেল। পড়াতে পড়াতে বৃষ্টির বেগ বেড়ে উঠ্লো, সঙ্গে সঙ্গে ঝড়। আমার শোবার ঘরে ক্লাশ হয়—ঘরে ছাঁট আস্তে লাগ্লো। সার্সি বন্ধ ক’রে দিলুম—পাঠ্য শেষ হ’য়ে গেল, কিন্তু বৃষ্টি শেষ হয় না—এই বৃষ্টিতে তাদের তো ছেড়ে দিতে পারিনে। শেষকালে ওরা আমাকে ধ’রে প’ড়্লো, মুখে মুখে একটা গল্প বানিয়ে ওদের শোনাতে। কিন্তু ভেবে দেখো আমার বয়স এখন সাতান্ন বছর হয়েছে, এখন কি ইচ্ছা ক’রলেই অনর্গল গল্প ব’ল্তে পারি? শেষকালে আমি কর্লুম কী, একটা গল্পের কেবল গোড়া ধরিয়ে দিয়ে ওদের বল্লুম সেইটে এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ ক’রে লিখে আনতে। ওরা তো উৎসাহের সঙ্গে রাজী হ’লো, কিন্তু ওদের গল্প যে কী রকম হবে তা কল্পনা ক’রে আমার মনে কিছুমাত্র উৎসাহ বোধ হ’চ্চে না। যাক্গে, ওরা তো সেই গল্প মাথায় নিয়ে ভিজ্তে ভিজ্তে চেঁচাতে চেঁচাতে ওদের ঘরে চ’লে গেল —আমি গেলুম স্নান ক’র্তে। স্নান ক’রে খেয়ে এসে আজ তাকিয়ায় একটু হেলান দিয়ে প’ড়েছিলুম। কিন্তু সমস্ত দিন তো কুঁড়েমি ক’রে কাটাতে পারিনে। অন্য দিন হ’লে উঠে আমার
পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভানুসিংহের পত্রাবলী
১৯