১৬
আজ সকালে তোমার চিঠি এইমাত্র পেলুম। আজ আমার চতুর্থ এবং পঞ্চম বর্গের পুরাতন পড়ার দিন, আজ সন্তোষের হাতে তাদের ভার; এইজন্যে আমার সকালের কাজের প্রথম দুই ভাগ আমার ছুটি, তাই এখনি তোমার চিঠির জবাব দিতে বস্বার সময় পেলুম। সেদিন যখন তোমাকে লিখ্ছিলুম, তখন আকাশ জুড়ে মেঘের হাঁক্ডাক্ এবং মাঠে-বনে পাগ্লা হাওয়ার দৌরাত্ম্য চ’ল্ছিলো; আজ সকালে তা’র আর কোনো চিহ্ন নেই, আজ শরৎকালের প্রসন্ন মূর্তি প্রকাশ পেয়েচে—শিবের জটা ছাপিয়ে যেন গঙ্গা ঝ’রে প’ড়্চে, —আকাশে তেমনি আজ আলোকের নির্ম্মল ধারা ঢেলে দিয়েছে, পৃথিবী আজ মাথা নত ক’রে তা’র অশ্রু-আর্দ্র হৃদয়খানি মেলে দিয়েচে, আর আকাশের কোন্ তরুণ দেবতা হাসিমুখে তা’র উপরে এসে দাঁড়িয়েচেন। জলস্থল শূন্যতল আজ একটি জ্যোতির্ম্ময় মহিমায় পূর্ণ হ’য়ে উঠেচে। সেই পরিপূর্ণতায় চারিদিক শান্ত স্তব্ধ, অথচ গোলমাল-যে কিছু নেই, তা নয়। জাগ্রত