এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভানুসিংহের পত্রাবলী
৫৭
২১
শান্তিনিকেতন।
আচ্ছা বেশ, রাজি। ভানুদাদা নামই বহাল হ’লো। এ নামে আজ পর্য্যন্ত আমাকে কেউ ডাকেনি, আর কেউ যদি ডাকে তবে তা’র উত্তর দেবো না। সিণ্ডারেলার গল্প জানো তো? তা’র একপাটি জুতো নিয়ে রাজার ছেলে পা মেপে বেড়াতে লাগ্লো। আমার ভানু নামটা সেই রকম একপাটি; যদি কেউ ব্যবহার ক’র্তে যায়, আমি তখন ব’ল্তে পার্বো—আচ্ছা আগে নিজের নামের পাটির সঙ্গে মিলিয়ে দেখো। যার নাম সুরবালা, সে ব’ল্বে সুরো সুরু সুরি—কিছুতেই ভানুর সঙ্গে মিল্বে না, যার নাম মাতঙ্গিনী সে ব’ল্বে মাতু, মাতি, মাতো—কিছুতেই মিল্বে না, তিনকড়িরও সেই দশা, কাত্যায়নীরও তাই; জগদম্বা, পীতাম্বরী, গুরুদাসী, শঙ্খেশ্বরী, নগেন্দ্রমোহিনী, কারোই কাছে ঘেঁষবার জো নেই। ভারি সুবিধে হ’য়েচে। কেবল আমার মনে ভারি ভয় র’য়ে গেল, পাছে কারো নাম থাকে “কানু