পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভানুসিংহের পত্রাবলী
৬৫

করে না। প্রথমত, আমার নামটাই তাদের অসহ্য বোধ হয় এই জন্যে বদ্‌নাম কর্‌বার সুবিধা পেলে ছাড়ে না। তা’রপরে দেখেচে আমার সঙ্গে আকাশের মিতার খুব ভাব আছে সেইজন্যে নক্ষত্রগুলো আমাকে তাদের শত্রুপক্ষ ব’লে ঠিক ক’রেচে। যাই হোক্, আমি ওদের কাছে হার মান্‌বার ছেলে নই। ওরা যা কর্‌বার করুক্‌, আমি দিনের আলোর দলে রইলুম। তোমাকে কিন্তু কুচক্রী নক্ষত্রগুলোর উপরে টেক্কা দিতে হবে। বেশ শরীরটাকে সেরে নিয়ে, মনটাকে প্রফুল্ল ক’রে হৃদয়টাকে শান্ত করো, জীবনটাকে পূর্ণ করো। তা’রপরে লক্ষ্যকে ঊর্দ্ধে রেখে অপরাজিত চিত্তে সংসারের সুখ-দুঃখের ভিতর দিয়ে চ’লে যাও— কল্যাণ লাভ করো এবং কল্যাণ দান করো। নিজের বাসনাকে উদ্দাম ক’রে না তুলে মঙ্গলময়ের শুভ-ইচ্ছাকে নিজের অন্তরে বাহিরে সার্থক করো। ইতি ২০ অক্টোবর, ১৯১৮।

২৩

শান্তিনিকেতন

 আমার ভ্রমণ শেষ হ’লো। যেখান থেকে যাত্রা আরম্ভ ক’রেছিলুম সেইখানেই আবার এসে ফিরেচি।