পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভানুসিংহের পত্রাবলী
৬৯

বর্ত্তমানসম্বন্ধে বহুবিধ আলোচনা ক’র্‌লেন তাতে অনেকটা সময় চ’লে গেল। তা’রপরে নগেনবাবু নামক এখানকার একজন মাষ্টার তাঁর এক মস্ত তর্জ্জমা নিয়ে আমার কাছে সংশোধন কর্‌বার জন্যে আন্‌লেন, তাতেও অনেকটা সময় চলে গেল। সুতরাং বেলা তিনটে বেজে গেচে তবু আমি আমার সেই ডেস্কে ব’সে আছি। বই, কাগজ, খাতা, দোয়াত, কলম, ওষুধের শিশি এবং অন্য হাজার রকম জবড়ভঙ্গ্ জিনিসে আমার ডেস্ক পরিপূর্ণ। তা’র মধ্যে এমন অনেক আবর্জ্জনা আছে, যা এখনি টেনে ফেলে দিলেই চলে; কিন্তু কুঁড়ে মানুষের মুস্কিল এই-যে, আবশ্যকের জিনিস সে খুঁজে পায় না আর অনাবশ্যক জিনিস না খুঁজলেও তা’র সঙ্গে লেগেই থাকে। এমন অনেক ছেঁড়া লেফাফা কাগজ চাপা দিয়ে জমানো র’য়েছে যার ভিতরকার চিঠিরই কোনোও উদ্দেশ পাওয়া যায় না। মনে আছে, আমাকে তোমার রূপকথা পাঠিয়ে দিতে হবে সেই অলাবু-নন্দিনীর “কাহিনী” আর সেই “চম্‌কিলা” “সোনেকিতরহ” চুলওয়ালী রাজকুমারীর কথা। তা ছাড়া, আর একটি কথা মনে রাখ্‌তে হবে, মন খারাপ ক’রো না — লক্ষ্মী মেয়ে হ’য়ে প্রসন্ন হাসি