পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
ভানুসিংহের পত্রাবলী

গুজরাটি ছেলে আছে—আমাকে খাওয়াবে ব’লে তাদের হঠাৎ ইচ্ছা হ’য়েছিলো। তাই আজ সকালে আমার লেখা সেরে স্নানের ঘরের দিকে যখন চ’লেছি, এমন সময় দেখি, একটি গুজরাটি ছেলে থালা হাতে ক’রে আমার দ্বারে এসে হাজির। যা হোক্, নীচের ঘরে টেবিলে ব’সে ব’সে রুটির টুক্‌রো ভাঙ্‌চি আর খাচ্চি, আর তার সঙ্গে একটু একটু চাট্‌নিও মুখে দিচ্চি, এমন সময়—রোসো, আগে ব’লে নিই, খাবার কী রকম হ’য়েছিলো। রুটিটা বেশ শক্ত-গোছের ছিল; যদি আমাকে সম্পূর্ণ চিবিয়ে সবটা খেতে হ’তো তা হ’লে আমার এক্‌লার শক্তিতে কুলিয়ে উঠ্‌তো না, মজুর ডাক্‌তে হ’তো। কিন্তু ছিঁড়্‌তে যত শক্ত মুখের মধ্যে ততটা নয়। আবার রুটিটা মিষ্টি ছিল; ডাল তরকারি দিয়ে মিষ্টি রুটি খাওয়া আমাদের আইনে লেখে না, কিন্তু খেয়ে দেখা গেল-যে, খেলে-যে বিশেষ অপরাধ হয় তা নয়। সেই রুটি খাচ্চি, এমন সময়— রোসো, ওর মধ্যে একটা কথা ব’ল্‌তে একেবারেই ভুলে গেচি, দুটো পাঁপর-ভাজাও ছিল; সে-দুটো, আমি যাকে ব’লে থাকি সুশ্রাব্য—অর্থাৎ খেতে বেশ ভালো লাগে। শুনে তুমি হয় তো আশ্চর্য্য হবে এবং আমাকে