পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
ভানুসিংহের পত্রাবলী

আওয়াজ মিলেছিলো, তা’র কি সংখ্যা ছিল? ছোটো ছেলের কান্না, বড়োদের হাঁক্‌ডাক, ডুগ্‌ডুগির বাদ্য, গোরুর গাড়ির ক্যাঁচ্‌কোঁচ্, যাত্রার দলের চীৎকার, তুবড়ীবাজির সোঁ সোঁ, পট্‌কার ফুট্‌ফাট্, পুলিশ-চৌকিদারের হৈ হৈ,—হাসি, কান্না, গান, চেঁচামেচি, ঝগ্‌ড়া ইত্যাদি ইত্যাদি। ৭ই পৌষে মাঠে খুব বড়ো হাট ব’সেছিলো—তাতে গালার খেল্‌না, ফলের মোরব্বা, মাটির পুতুল, তেলে-ভাজা ফুলুরি, চিনেবাদাম ভাজা প্রভৃতি আশ্চর্য্য আশ্চর্য্য জিনিস বিক্রী হ’লো। এক-এক পয়সা দিয়ে ছেলেমেয়েরা সব নাগরদোলায় দুল্‌লো; চাঁদোয়ার নীচে নীলকণ্ঠ মুখুজ্যের কংসবধ যাত্রার পালা গান হ’চ্ছিলো—সেইখানে একেবারে ঠেলাঠেলি ভিড়। তা’রপরে ৯ই পৌষে আমাদের মেয়েরা আবার এক মেলা ক’রেছিলেন—তাতে সিঙারা, আলুর-দমের দোকান ব’সিয়েছিলেন—এক-একটা আলুর-দম এক-এক পয়সায় বিক্রী হ’লো। সুকেশী বউমা চিনে-বাদামের পুতুল গ’ড়েছিলেন, তা’র এক-একটা ছ-আনা দামে বিক্রী হ’য়ে গেল। কমল কাদা দিয়ে একটা ঘর বানিয়েছিলো—তা’র খড়ের চাল, চারিদিকে মাটির