পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্ম ও শ্রীরামকৃষ্ণ । ভারতের ভগবান আত্মাভিব্যক্তির দ্বারা ইহাকে পুনরুজ্জীবিত করিয়াছেন । কিন্তু ঈষন্মাত্রযাম গতপ্রায় বৰ্ত্তমান গভীর বিষাদরজনীর ন্যায় কোনও অমানিশ এই পুণ্যভূমিকে সমাচ্ছন্ন করে নাই। এ পতনের গভীরতায় প্রাচীন পতন সমস্ত গোপদের তুল্য । এবং সেই জন্ত এই প্রবোধনের সমুজ্জ্বলতায় অন্ত সমস্ত পুনর্বোধন স্থৰ্য্যালোকে তারকাবলীর স্তায় । এই পুনরুত্থানের মহাবীৰ্য্যের সমক্ষে পুনঃপুনল স্ক প্রাচীন বীৰ্য্য বাললীলাপ্রায় হুইয়া যাইবে - পতনবস্থায় সনাতন ধম্মের সমগ্রভাব-সমষ্টি অধিকারিহীনতায় ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সম্প্রদায়-আকারে পরিরক্ষিত হুইতেছিল এবং অনেক অংশ লুপ্ত হইয়াছিল । এই নবোখানে, নব বলে বলীয়ান মানবসন্তান, বিখণ্ডিত ও বিক্ষিপ্ত অধ্যাত্মবিদ্যা সমষ্টীকৃত করিয়া, ধারণা ও অভ্যাস করিতে সমর্থ হইবে ; এবং লুপ্ত বিদ্যারও পুনরাবিষ্কার করিতে সমর্থ চইবে ; ইহার প্রথম নিদর্শনস্বরূপ, শ্ৰীভগবান, পরম কারুণিক, সৰ্ব্বযুগাপেক্ষা সমধিক সম্পূর্ণ, সৰ্ব্বভাব-সমন্বিত, সৰ্ব্ববিদ্যা-সহায়, যুগাবতাররূপ প্রকাশ করিলেন । অতএব এই মহাযুগের প্রত্যুষে সৰ্ব্বভাবের সমন্বয় প্রচারিত হইতেছে এবং এই অসীম অনন্তভাব, যাহা সনাতন শাস্ত্র ও ধৰ্ম্মে নিহিত থাকিয়াও এতদিন প্রচ্ছন্ন ছিল, তাহ পুনরাবিষ্কৃত হুইয়া উচ্চনিনাদে জনসমাজে ঘোষিত হইতেছে । এই নব যুগধৰ্ম্ম, সমগ্র জগতের, বিশেষতঃ ভারতবর্ষের &