পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাৰ্জ্জন । জ্ঞানবল গুরু-মুখ হইতে না আসিলে, গুরুর রূপ মা হইলে, আর উপায় নাই । আবার দার্শনিকেরা-বৈদাস্তিকের –বলেন, জ্ঞান মমুষ্যের স্বভাব-সিদ্ধ ধন—আত্মার প্রকৃতি ; এই মানবাত্মাই অনন্ত জ্ঞানের আধার, তাহাকে আবার কে শিথাইবে ? সুকৰ্ম্মের দ্বারা ঐ জ্ঞানের উপর যে একটা আবরণ পড়িয়াছে, তাঙ্গ কাটিয়া যায় মাত্র । অথবা ঐ (স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান অনাচারের দ্বারা_সঙ্কুচিত হইয়া যায়, ঈশ্বরের_কুপার_সদাচার_দ্বারা_পুনবিষ্ফরিত—হয় মঈন যোগাদির_দ্বার, ঈশ্বরে_ভক্তির_দ্বার, নিষ্কাম কৰ্ম্মের_দ্বার, অন্তর্নিহিত অনন্ত শক্তি ও জ্ঞানের বিকাশ-ইহাও পড়া যায় ) আধুনিকের অপরদিকে, অনন্তস্ফুক্তির আধারস্বরূপ মানব-মন দেখিতেছেন, উপযুক্ত দেশকালপাত্র পরস্পরের উপর ক্রিয়াবান হইতে পারিলেই জ্ঞানের ফুক্তি হইবে, ইহাই সকলের ধারণা । আবার দেশকালের বিড়ম্বন পাত্রের তেজে অতিক্রম করা যায় । সৎপাত্র, কুদেশে, কুকালে পড়িলেও বাধা অতিক্রম করিয়া আপনার শক্তির বিকাশ করে । পাত্রের উপর, অধিকারীর উপর যে সমস্ত ভার চাপান হুইয়াছিল, তাহাও কমিয়া আসিতেছে । সেদিনকার বৰ্ব্বর জাতিরাও যত্নগুণে সুসভ্য ও জ্ঞানী হইয়া উঠিতেছে—নিম্নস্তর উচ্চতম আসন অপ্রহিত গতিতে লাভ করিতেছে । নিরামিষ-ভোজী পিতামাতার সন্তানও সুবিনীত, বিদ্বান হষ্টয়াছে, সাঁওতাল ংশধরেরাও ইংরাজের কৃপায় বাঙ্গালির পুত্রদিগের সহিত বিদ্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিত স্থাপন করিতেছে। পিতৃপিতামহাগত গুণের পক্ষপাতিত ঢের কমিয়া আসিয়াছে । & X