পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাববার কথা । —“ছ, ঠাকুরজি এমনই আহাম্মক কি না ? পাগল তুই— আমাকেই ভিজুতে পারিস নি—ঠাকুর কি আমার চেয়েও বেশী মূখ ?” ভগবান অর্জুনকে বলেছেন—তুমি আমার শরণ লও, আর কিছু করবার দরকার নাই, আমি তোমায় উদ্ধার করিব। ভোলাচাদ তাই লোকের কাছে শুনে মহাখুলী ; থেকে থেকে বিকট চীৎকার-আমি প্রভুর শরণাগত, আমার আবার ভয় কি ? আমার কি আর কিছু কর্তে হবে ? ভোলাচাদের ধারণা—ঐ কথাগুলি খুববিট্‌কেল আওয়াজে বারম্বার বলতে পারলেই যথেষ্ট ভক্তি হয়, আবার তার উপর মাঝে মাঝে পূৰ্ব্বোক্ত স্বরে জানানও আছে, যে তিনি সদাই প্রভুর জন্ত প্রাণ পৰ্য্যস্ত দিতে প্রস্তুত। এ ভক্তির ডোরে যদি প্রভু স্বয়ং না বাধা পড়েন, তবে সবষ্ট মিথ্যা । পাশ্বচর দু’চারটা আহাম্মক ও তাই ঠাওরায় । কিন্তু ভোলাচাদ প্রভুর জন্ত একটিও দুষ্টামি ছাড়তে প্রস্তুত নন। বলি, ঠাকুরজি কি এমনই আহাম্মক ? এতে যে আমরাই ভূলিনি ! ভোলাপুরী বেঞ্জায় বেদান্তী—সকল কথাতেই তার ব্ৰহ্মত্ব সম্বন্ধে পরিচয়টুকু দেওয়া আছে। ভোলাপুরীর চারিদিকে যদি লোকগুলো অন্নাভাবে হাহাকার করে—তাকে স্পর্শও করে না ; তিনি সুখদুঃখের অসারতা বুঝিয়ে দেন। যদি রোগে শোকে অনাহারে লোকগুলো ম’রে ঢিপি হয়ে যায়, তাতেই বা তার কি ? তিনি অমনি আত্মার অবিনশ্বরত্ব চিন্তা করেন । তার সামনে r wog