পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাব বার কথা । বলবান দুৰ্ব্বলকে যদি মেরেও ফেলে, ভোলাপুরী—“আত্মা মরেনও ন, মারেনও না” এই শ্রুতিবাক্যের গভীর অর্থসাগরে ডুবে যান। কোনও প্রকার কৰ্ম্ম কর্তে ভোলাপুরী বড়ই নারাজ । পেড়াপীড়ি ক’রলে জবাব দেন যে, পূৰ্ব্ব জন্মে ওসব সেরে এসেছেন । এক জায়গায় ঘ পড়লে কিন্তু ভোলাপুরীর আত্মৈক্যানুভূতির ঘোর ব্যাঘাত হয়,—যখন তার ভিক্ষার পরিপাটিতে কিঞ্চিৎ গোল হয় বা গৃহস্থ তার আকাজানুযায়ী পুজা দিতে নারাজ হন, তখন পুরীজির মতে গৃহস্থের মত ঘৃণ্য জীব জগতে আর কেহই থাকে না এবং যে গ্রাম তাহার সমুচিত পূজা দিলে না, সে গ্রাম যে কেন মুহূৰ্ত্তমাত্রও ধরণীর ভার বুদ্ধি করে, এই ভাবিয়া তিনি আকুল श्न ! ইনিও ঠাকুরজিকে আমাদের চেয়ে আহাম্মক ঠাওরেছেন । বলি, রামচরণ ! তুমি লেখা পড়া শিখ লে না, ব্যবসা বাণিজ্যেরও সঙ্গতি নাই, শারীরিক শ্রম ও তোমা দ্বারা সম্ভব নহে, তার উপর নেসা ভাঙ, এবং দুষ্টামিগুলাও ছাড়তে পার না, কি ক’রে জীবিকা কর বল দেখি ? রামচরণ—"সে সোজা কথা মহাশয়—আমি সকলকে উপদেশ করি।” রামচরণ ঠাকুরজিকে কি ঠাওরেছেন ? ( २ ) লক্ষেী সহরে মহল্লমের ভারী ধূম । বড় মসজো ইমামবাড়ায় জাকজমক রোশ নির বাহার দেখে কে ! বেমুমার লোকের IV