পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাব বার কথা । সমাগম । হিন্দু, মুসলমান, কেরাণী, য়াহুদী, ছত্রিশ বর্ণের স্ত্রী পুরুষ বালক বালিকা, ছত্রিশ বর্ণের হাজারো জাতের লোকের ভিড় আজ মহরম দেখতে । লক্ষেী সিয়াদের রাজধানী, আজ হজরত ইমাম হাসেন হোসেনের নামে আৰ্ত্তনাদ গগন স্পর্শ করছে —সে ছাতিফটিান মসিয়ার কাতরাণি কার বা হৃদয় ভেদ না করে ? হাজার বৎসরের প্রাচীন কারবালার কথা আজ ফের জীবস্তু হ’য়ে উঠেছে ! এ দশকবৃন্দের ভিড়ের মধ্যে দূর গ্রাম হইতে দুই ভদ্র রাজপুত তামাস। দেখতে হাজির । ঠাকুর সাহেবদের—যেমন পাড়াগেয়ে জমীদারের হ’য়ে থাকে—বিদ্যাস্থানে ভয়ে বচ । সে মোসলমানি সভ্যতা, কাফ, গাফের বিশুদ্ধ উচ্চারণসমেত লস্করী জবানের পুষ্পবৃষ্টি, আবা কাবা চুস্ত পায়জাম। তাজ মোড়াসার রঙ্গ বেরঙ্গ সহর পসন্দ ঢঙ্গ অতদূর গ্রামে গিয়ে ঠাকুর সাহেবদের স্পর্শ করতে আজও পারে নি । কাজেই ঠাকুররা সরল সিধে, সৰ্ব্বদা শীকার ক’রে জমামরদ কড়াজান আর বেজায় মজবুত দিল । ঠাকুরদ্বয় ত ফটক পার হ’য়ে মসজেদ মধ্যে প্রবেশোদ্যত, এমন সময় সিপাহী নিষেধ করলে । কারণ জিজ্ঞাসা করায় জবাব দিল যে, এষ্ট যে দ্বারপাশ্বে মুরদ খাড়া দেখছ, ওকে আগে পাচ জুতা মার, তবে ভিতরে যেতে পাবে । মূৰ্ত্তিটি কার ? জবাব এলো-ও মহাপাপী ইয়েজিদের মূৰ্ত্তি । ও হাজার বৎসর আগে হজরৎ হাসেন হোসেনকে মেরে ফেলে, তাই আজ এ রোদন, এ শোক প্রকাশ। প্রহরী ভাবলে এ বিস্তৃত ব্যাখ্যার পর ইয়েজিদ মূৰ্ত্তি পাচ জুতার জায়গায় দশ ত নিশ্চিত খাবে। কিন্তু কৰ্ম্মের ૭૧