পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাব বার কথা । আবার জিজ্ঞাসা ক’রলুম—তবে এ দেবদেবের নাম কি ?—উত্তর এলো, এর নাম “লোকাচার ।” আমার লক্ষেীয়ের ঠাকুর সাহেবের কথা মনে পড়ে গেল, “ভল. বাবা ‘লোকাচার’ অস মারো” ইত্যাদি । গুড়গুড়ে কৃষ্ণব্যাল ভট্টাচাৰ্য্য—মহা পণ্ডিত, বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের খবর তার নখদর্পণে । শরীরটি অস্থি-চৰ্ম্মসার ; বন্ধুরা বলে তপস্তার দাপটে, শক্ররা বলে অন্নাভাবে ! আবার দুষ্টের বলে, বছরে দেড়কুড়ি ছেলে হ’লে ঐ রকম চেহারাই হ’য়ে থাকে। যাই হোক, কৃষ্ণব্যাল মহাশয় না জানেন এমন জিনিষটিই নাই, বিশেষ টিকি হ’তে আরম্ভ কোরে নবদ্বার পর্য্যন্ত বিদ্যুৎপ্রবাহ ও চৌম্বকশক্তির গতাগতিবিষয়ে তিনি সৰ্ব্বজ্ঞ । আর এ রহস্যজ্ঞান থাকার দরুণ দুর্গাপূজার বোম্বার-স্মৃত্তিক হোতে মায় কাদা পুনৰ্ব্বিবাহ দশ বৎসরের কুমারীর গর্ভাধান পৰ্য্যস্ত সমস্ত বিষয়ের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কৰ্ত্তে তিনি অদ্বিতীয় । আবার প্রমাণ প্রয়োগ-- সে তো বালকেও বুঝতে পারে, তিনি এমনি সোজা কোরে দিয়েছেন । বলি, ভারতবর্ষ ছাড়া অন্তভ্র ধৰ্ম্ম হয় না, ভারতের মধ্যে ব্রাহ্মণ ছাড়া ধৰ্ম্ম বুঝবার আর কেউ অধিকারীই নয়, ব্রাহ্মণের মধ্যে আবার কৃষ্ণব্যাল গুষ্টি ছাড়া বাকী সব কিছুই নয়, কৃষ্ণব্যালদের মধ্যে গুড়গুড়ে ! অতএব গুড়গুড়ে কৃষ্ণব্যাল য। বলেন, তাহাই স্বতঃপ্রমাণ । মেলা লেখাপড়ার চর্চা হচ্চে, লোকগুলো একটু চম্চমে হোয়ে উঠছে, সকল জিনিষ বুঝতে চায়, চাকৃতে চায়, তাই কৃষ্ণব্যাল মহাশয় সকলকে আশ্বাস \లిసి