রামকৃষ্ণ ও র্তাহার উক্তি । অধ্যাপক সেগুলি তীক্ষ-দৃষ্টিতে অবেক্ষণ করেন এবং পাশ্চাত্য জগৎ যাহাতে সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্ত হয়, তাহার ও বিশেষ চেষ্টা করেন । দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কেশবচন্দ্র সেন কর্তৃক পরিচালিত ব্রাহ্মসমাজ, স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী প্রতিষ্ঠিত আৰ্য্য সমাজ, থিয়সফি সম্প্রদায়, অধ্যাপকের লেখনী-মুখে প্রশংসিত বা নিন্দিত হইয়াছে । মু প্রতিষ্ঠিত ব্ৰহ্মবাদিন ও প্রবুদ্ধ ভারত-নামক পত্রদ্বয়ে শ্রীরামকৃষ্ণের উক্তি ও উপদেশের প্রচার দেখিয়া এবং ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম-প্রচারক বাবু প্রতাপচন্দ্র মজুমদার-লিখিত শ্রীরামকৃষ্ণের বৃত্তান্ত পাঠে, রামকৃষ্ণজীবন তাহাকে আকর্ষণ করে। ইতিমধ্যে ‘ইণ্ডিয়া হাউসের লাইব্রেরিয়ান টনি মহোদয়-লিথিত রামকৃষ্ণচরিতও ইংলওঁীয় প্রসিদ্ধ মাসিক পত্রিকায় * মুদ্রিত হয় । মান্দ্রাজ ও কলিকাতা হইতে অনেক বিবরণ সংগ্ৰহ করিয়া অধ্যাপক, নাইনটিন্থ সেঞ্চুরি নামক ইংরাজি ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ মাসিক পত্রিকায় শ্রীরামকৃষ্ণের জীবন ও উপদেশ সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা করেন । তাহাতে ব্যক্ত করিয়াছেন যে—বহু শতাব্দী যাবৎ পূৰ্ব্ব মনীষিগণের ও আধুনিক কালে পাশ্চাত্য বিদ্বদবর্গের প্রতিধ্বনিমাত্রকারী ভারতবর্ষে নূতন ভাষায় নূতন মহাশক্তি পরিপূরিত করিয়া, নুতন ভাবসম্পাতকারী নুতন মহাপুরুষ সহজেই তাহার চিত্তাকর্ষণ করিলেন । পুৰ্ব্বতন ঋষি মুনি মহাপুরুষদিগের কথা তিনি শাস্ত্র-পাঠে বিলক্ষণই অবগত ছিলেন ; তবে এ যুগে, ভারতে—আবার তাঙ্গ হওয়া কিসম্ভব ? রামকৃষ্ণজীবনী এ প্রশ্নের যেন মীমাংসা করিয়া দিল । আর ভারত-গত-প্রাণ মহাত্মার
- Asiatic Quarterly Review.
8 ඵ
