পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ ও তাহার উক্তি । শ্রীরামকৃষ্ণ-কথা অতি সংক্ষেপে সরল ভাষায় পুস্তক-মধ্যে অবস্থিত । এ জীবনীতে সভয় ঐতিহাসিকের প্রত্যেক কথাটি যেন ওজন করিয়া লেখা—“প্রকৃত মহাত্মা” নামক প্রবন্ধে যে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ মধ্যে মধ্যে দেখা যায়, এবার তাহ অতি যত্নে আবরিত । একদিকে মিশনরি, অন্ত দিকে ব্রাহ্ম-কোলাহল—এ উভয় অাপদের মধ্য দিয়া অধ্যাপকের নেীক চলিয়াছে । "প্রকৃত মহাত্ম।” উভয় পক্ষ হইতে বহু ভংসন, বহু কঠোর বাণী অধ্যাপকের উপর আনে ; আনন্দের বিষয়—তাহার প্রত্যুত্তরের চেষ্টাও নাই, ইতরতা নাই আর গালাগালি সভ্য ইংলণ্ডের ভদ্রলেখক কখনও করেন না ; কিন্তু বর্ষীয়ান মহাপণ্ডিতের উপযুক্ত ধীর-গম্ভীর, বিদ্বেষ-শূন্ত অথচ বজবং দৃঢ় স্বরে মহাপুরুষের অলৌকিক হৃদয়োখিত অমানব ভাবের উপর যে আক্ষেপ হইয়াছিল, তাহ অপসারিত করিয়াছেন । আক্ষেপ গুলি ও আমাদের বিস্ময়-কর বটে। ব্রাহ্ম-সমাজের গুরু স্বগীয় আচাৰ্য্য খ্রীকেশবচন্দ্রের শ্ৰীমুখ হইতে আমরা শুনিয়াছি যে—শ্রীরামকৃষ্ণের সরল মধুর গ্রাম্য ভাষা অতি অলৌকিক পবিত্রতা-বিশিষ্ট , আমরা যাহাকে অশ্লীল বলি, এমন কথার সমাবেশ তাস্থাতে থাকিলেও তাহার অপূৰ্ব্ব বলবৎ কামগন্ধ-হীনতার জষ্ঠ ঐ সকল শব্দ প্রয়োগ দোষের না হইয়া ভূষণ-স্বরূপ হইয়াছে। অথচ ইহাই একটি প্রবল আক্ষেপ ! অপর আক্ষেপ এই যে, তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়া স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করিয়াছিলেন । তাহাতে অধ্যাপক উত্তর দিতেছেন যে, তিনি স্ত্রীর অমুমতি লইয়া সন্ন্যাস-ব্রত ধারণ করেন এবং যতদিন মর্ত্যমাধে ছিলেন, তাহার সদৃশী স্ত্রী, পতিকে গুরুভাবে 8ぬ