মালভূমি হইতে মােহানা আবুল সাগর পর্যন্ত ইহার দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪০০ কিলােমিটার। অক্সস্ ও হিন্দুকুশের মধ্যে প্রাচীন বহলীক বা ব্যাট্রিয়া রাজ্য অবস্থিত ছিল। পরবর্তী কালে অক্সস উপত্যকায় ইউচিগণ বসতি স্থাপন করে। সম্রাট শাহজাহানের সময় অক্সস অঞ্চলের দুইটি প্রদেশ মােগলগণ কর্তৃক বিজিত হয়। রুশ-আফগান। বিরােধের সমাধানকল্পে সীমানানির্ধারণ কমিশন ১৮৮৬ খ্রী অকৃসস নদীকে উক্ত দুইটি দেশের সীমানা হিসাবে নির্দিষ্ট করেন। ১৮৯৫ খ্র পরিবর্তিত আকারে এই সীমানা চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়।
অকিঞ্চন (১৭৫০-১৮৩৬ খ্রী) প্রকৃত নাম রঘুনাথ রায়। শ্যামা ও কৃষ্ণবিষয়ক গীতি রচয়িতা। সংগীতগুলি অকিঞ্চন ভণিতাযুক্ত, সেইজন্য এই নামে প্রসিদ্ধ। বর্ধমান রাজ এস্টেটে তিনি দেওয়ানের কাজ করিতেন। পরমার্থ-চিন্তায়। জীবন অতিবাহিত করিবার মানসে তিনি কার্য ত্যাগ করেন।
অকিঞ্চন দাস সম্ভবতঃ ভক্তিরসাত্মিকা, ভক্তিরসালিকা, ভক্তিরসচন্দ্রিকা প্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা। এইগুলি ১৭ শতকের শেষভাগে লিখিত। ইনি সহজিয়া সম্প্রদায়ের লােক। রামানন্দ রায়ের জগন্নাথবল্লভ নাটককে ইনি বাংলায় রূপান্তরিত করিয়াছিলেন।
দ্র সুকুমার সেন, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ১ম খণ্ড ১৯৪০ খ্রী।
অশ্রুর বৃষ্ণি বংশীয় কৃষ্ণের ভক্ত ও জ্ঞাতিসম্পর্কে পিতৃব্য। কোনও কোনও পুরাণ অনুযায়ী কৃষ্ণবিরােধী। পিতা শফলক; মাতা গান্ধিনী। কৃষ্ণকে মথুরায় আনয়নের জন্য বিশ্বস্ত দূত হিসাবে ইনি কংস কর্তৃক নালয়ে প্রেরিত হইয়াছিলেন। পাণ্ডবদিগের প্রতি ধৃতরাষ্ট্রের মনােভাব জানিবার জন্য কৃষ্ণের অনুরােধে ইনি হস্তিনায়ও গিয়াছিলেন। বৃষ্ণি বংশীয় পঞ্চবীরের অর্চনাবিধি প্রবর্তনকালে ইনি পঞ্চবীরের অন্যতম ছিলেন বলিয়া কেহ কেহ মনে করেন। ইনি প্রথম জীবনে মথুরায় এবং শেষ জীবনে দ্বারকায় অবস্থান করেন।
অক্ষক্রীড়া পাশাখেলা। দূতক্রীড়া বা জুয়া খেলাও এই নামে পরিচিত ছিল। মনে হয়, কেহ কেহ ইহা দ্বারা দাবা খেলাও বুঝিয়াছেন। কোজাগর পূর্ণিমার রাত্রিতে অক্ষদ্বারা জাগরণের যে বিধান আছে তাহার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে রঘুনন্দন তাঁহার তীর্থতত্ত্বে চতুরঙ্গ বা দাবাখেলার বিবরণ উদ্ধৃত করিয়াছেন। কোজাগর পূর্ণিমায় অক্ষক্রীড়ার ব্যবস্থা থাকিলেও সাধারণতঃ ইহা নিন্দনীয় ছিল। মনুসংহিতায় (৭৪৭) ইহা দশ কামজ ব্যসনের অন্যতম। অক্ষক্রীড়ার ফলে পাণ্ডবদের দুরবস্থার কথা মহাভারতে বর্ণিত হইয়াছে। তথাপি অতি প্রাচীন কাল হইতে ভারতবর্ষে অক্ষক্রীড়া ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। তবে দাবাখেলা সম্পর্কে যেমন নানা পুস্তকের সন্ধান পাওয়া যায় পাশাখেলা সম্পর্কে তেমন নয়। প্রাচীন ক্রীড়ার সহিত আধুনিক ক্রীড়ার পার্থক্য আছে।
ভ্র বঙ্গীয় মহাকোষ; Indian Historical Quarterly, vol. XIV.
২