পাতা:ভারতকোষ - প্রথম খণ্ড.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

অজয় Brussels, 1927 ; S. Paramasivam, Technique of the Painting Process in the Cave Temples at Ajanta, An. Rep. Arch. Dept. H. E. H. the Nijam's Dominions, 1936-37, Calcutta 1939 ; G. Yazdani, Ajanta ( texts and plates ), me-IV, Oxford, 1930-55; V. V. Mirashi, Vakataka Inscription in Cave XVI at Ajanta, Hyderabad Archaeological Series, No. 14, 1941 ; Percy Brown, Indiun Architecture (Buddhist and Hindu) Bombay, 1942 ; Debala Mitra, Ajanta, 3rd Edn. New Delhi, 1959. দেবলা মিত্র। অজন্তা অজণ্টা দ্র অজয় সঁওতাল পরগনার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে উৎপন্ন হইয়া, বীরভূম ও বর্ধমান জেলার সীমান্ত কিছুর পর্যন্ত নির্দেশ করিয়া, কাটোয়া শহরের নিকটে ভাগীরথীর সহিত যুক্ত। প্রধানতঃ বর্ষার জলে পুষ্ট এই নদীটি উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধেও নব্য ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে অবাধে জঙ্গল কাটিবার ফলে ভূমির ক্ষয় বৃদ্ধি পায় এবং ক্রমে নদীগর্ভ বালুকাপূর্ণ হইয়া বন্যাপ্রবণতা দেখা দেয়। এই নদী-উপত্যকায় বর্ধমান জেলার উত্তরপশ্চিম প্রান্তে কয়লাখনির অর্থনৈতিক গুরুত্ব যথেষ্ট। অজয়ের তীরে কবি জয়দেবের বাসভূমি কেন্দুবি বা জয়দেব-কেঁদুলি গ্রাম। বর্ধমান জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ ‘পাণ্ডুরা জার ঢিবি’ ইহার তীরে অবস্থিত। ইলামবাজারের নিকট বাঁধ দিয়া বন্যারোধের চেষ্টা হইতেছে। ইহা দামােদর-উপত্যকার সেচ-প্রণালীর সহিত সংযুক্ত। | সত্যেশ চক্রবর্তী অজয়রাজ শাকস্তুরীর (বর্তমান আজমীর ও সংলগ্ন অঞ্চল) চৌহান বংশের রাজা। পিতা ১ম পৃথ্বীরাজের মৃত্যুর পর অজয়রাজ ( অজয়দেব, সহ) রাজা হন ( আনুমানিক রাজত্বকাল ১১১০-১১৩৩ খ্রীষ্টাব্দ)। তাহার সময় হইতেই চৌহান রাজগণ পার্শ্ববর্তী রাজ্য জয় করিয়া স্বীয় রাজ্যবিস্তারের নীতি অবলম্বন করেন। অজয়রাজ মালবের পরমারদের পরাজিত করিয়া পরমার-সেনাপতি সুলহনকে বন্দী করেন ও উজ্জয়িনী পর্যন্ত জয় করেন। তিনি আরও তিনজন রাজাকে পরাজিত করেন। ‘পৃথ্বীরাজ বিজয়’ মহাকাব্যে উল্লেখ আছে যে তিনি গর্জন মাতঙ্গদের ( সম্ভবতঃ গজনীর মুসলমান ) পরাজিত করেন। তিনি অজয়মেরু ( আজমীর) নগরের প্রতিষ্ঠাতা। রানী

________________

অজামিল সােম দেবী বা সােমলেখার নামে এবং নিজ নামে অজয়রাজ রৌপ্য ও তাম্রমুদ্রা প্রচলন করেন। নিজে শৈব হইলেও অন্য ধর্মের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। কথিত আছে যে শেষ জীবনে পুত্র অর্পোরাজকে রাজ্যে অভিষিক্ত করিয়া তিনি বনগমন করেন। নিমাইসাধন বসু অজাতশত্রু মগধের হর্যবংশীয় রাজা বিম্বিসারের পুত্র। বৌদ্ধ কাহিনীতে অজাতশত্রু (ব। কূণিক) পিতৃহন্তারূপে পরিচিত। কথিত আছে, অজাতশত্রু বুদ্ধদেবের নিকট নিজের পাপের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন। বৌদ্ধ বিবরণ অনুসারে তিনি বুদ্ধের অনুগামী ছিলেন। কিন্তু জৈনেরা তঁাহাকে জৈনধর্মাবলম্বী বলিয়া দাবি করেন। | অজাতশত্রু শক্তিশালী শাসক ছিলেন। বিমাতার | ভ্রাতা কোশলরাজ প্রসেনজিতের সহিত তিনি বিরােধে লিপ্ত হন। বহুদিন যুদ্ধের পর প্রসেনজিৎ শেষ পর্যন্ত স্বীয় কন্যার | সহিত অজাতশত্রুর বিবাহ দেন ও যৌতুকস্বরূপ কাশী গ্রাম অজাতশত্রুকে প্রত্যর্পণ করিয়া শান্তিস্থাপন করেন। | অজাতশত্রু লিচ্ছবিদের নিকট হইতে বৈশালী অধিকার করেন। জৈন সূত্র অনুসারে পূর্ব ভারতে অবস্থিত ছত্রিশটি গণশাসিত রাজ্যসমবায়ও তাহার নিকট পরাজিত হয়। অবস্তীরাজ চণ্ড প্রদ্যোৎ প্রস্তুতি সত্ত্বেও অজাতশত্রুর অগ্রগতি রোধ করিতে পারেন নাই। | অজাতশত্রু মগধরাজ্যকে বৃহত্তর ও অধিকতর শক্তিশালী করিয়া মগধসাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন। তিনি খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর শেষার্ধে রাজত্ব করেন। | সৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য

অজামিল কান্যকুজবাসী ব্রাহ্মণ অজামিল শূদ্রার প্রতি আসক্ত হইয়া চৌর্য, প্রবঞ্চনা, প্রাণীপীড়ন প্রভৃতি দ্বারা পরিবার পােষণ করিতেন। শূদ্রার গর্ভে তাহার দশটি পুত্র জন্মিয়াছিল। তন্মধ্যে কনিষ্ঠটি ছিল পিতা-মাতার অতিশয় প্রিয়, নাম নারায়ণ। অজামিল মৃত্যুকালে যমদূত কর্তৃক আক্রান্ত হইয়া প্রাণপণে প্রিয়পুত্র নারায়ণকে আহ্বান করিতে থাকিলে নারায়ণ’ নামকীর্তন শ্রবণে বিষ্ণুদূত আসিয়া তাহাকে মৃত্যুবন্ধন হইতে মুক্ত করিয়া দেন। যমদূত ও বিষ্ণুদূতের কথােপকথনে ভগবৎ-নামের মাহাত্ম শুনিয়া তাহার সংসারবৈরাগ্য উপস্থিত হয় এবং | যােগাবলম্বনে দেহত্যাগ করিয়া তিনি বিষ্ণুলােক প্রাপ্ত হন (ভাগবত ৬১-২)। এই উপাখ্যান অবলম্বনে

৩০