পাতা:ভারতকোষ - প্রথম খণ্ড.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

অটলবিহারী ঘােষ

সমর্থন করা যায় না। অজ্ঞাবাদীগণের উক্তির মধ্যে অনেক অসংগতি দেখিতে পাওয়া যায়। অনেক অজ্ঞাবাদীই অতীন্দ্রিয় সত্তা আছে ইহা স্বীকার করেন এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্ন জগতের সহিত উহার কি সম্বন্ধ তাহারও ইঙ্গিত দেন । এরূপ ক্ষেত্রে অতীন্দ্রিয় সত্তা সম্বন্ধে আমরা কিছুই জানি না। এ কথা বলা যুক্তিযুক্ত নহে। সাম্প্রতিক কালে পৃথক দার্শনিক মতবাদ হিসাবে তজ্ঞাবাদের বিশেষ কোনও প্রচলন নাই এবং কোনও নিদিষ্ট দার্শনিক সম্প্রদায়কে ঐ ভাবে অভিহিত করা হয় না। বর্তমানকালে পাশ্চাত্ত্যদেশীয় একদল প্রত্যক্ষৈকপ্রমাণবাদী অতীন্দ্রিয় তত্ত্ব সম্বন্ধীয় যে কোনও বাক্যের কোনও অর্থ আছে কিনা বিচার করিয়া দেখাইবার চেষ্টা করেন যে, ঐ জাতীয় সমস্ত বাক্যই অর্থহীন। কিন্তু হাক্সলির দৃষ্টিভঙ্গী ছিল একটু পৃথক— তাহার অসন্ধেয় বিষয় ছিল অতীন্দ্রিয় সত্তার অস্তিত্ব কতদূর প্রমাণযােগ্য এবং উহা কতদূর আমাদের জ্ঞানের পরিধির অভূত। | অজ্ঞাবাদের দার্শনিক মূল্য বিশেষভাবে স্বীকৃত না হইলেও ইহা মানিতে হইবে যে মানবমনের পক্ষে অতীন্দ্রিয় তত্ত্বের সকল রহস্য সম্পূর্ণরূপে উদঘাটন করা সম্ভব নহে। সুতরাং অজ্ঞাবাদ গ্রহণ না করিয়াও আমরা বলিতে পারি যে, অতীন্দ্রিয় চরমতত্ত্ব সম্বন্ধে আমরা অনেক কিছু না জানিতে পারি। u T. H. Huxley, Collected Essays, vol V, London, 1894 ; James Ward, Naturalism and Agnosticism, London, 1893 ; Leslie Stephen, An Agnostic's Apology, New York, 1903 ; R. Flint, Agnosticism, London, 1903 ; R. A. Armstrong, Agnosticism and Theism in the Nineteenth Century, London, 1905; F. Von Heigel, Reality of God: Religion and Agnosticism, New York, 1931. প্রীতিভূষণ চট্টোপাধ্যায়

অটলবিহারী ঘােষ (১৮৬৪-১৯৩৬ খ্ৰী ) ১৮৬৪ খ্রীষ্টাব্দে বাঁকুড়া জেলার রামসাগর গ্রামে মাতুলালয়ে অটলবিহারী জন্মগ্রহণ করেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. এ. ও ল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হইয়া ইনি কিছুদিন প্রথমে আলিপুর আদালতে এবং পরে কলিকাতার ঘােট আদালতে ওকালতি করেন। দীর্ঘকাল তন্ত্রশাস্ত্রের অনুশীলন করিয়া তিনি বহু দুষ্প্রাপ্য তন্ত্রগ্রন্থের পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেন। বিশিষ্ট ইংরাজ তন্ত্রশাস্ত্রবিৎ

অটোক্লেভ | উড়ফের (Sir John Woodroffe) সহযােগিতায় তিনি আগমানুসন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন। কলিকাতায় | তন্ত্রশাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক চর্চার সুব্যবস্থা হয়। ক্রমে তিনি | এই শাস্ত্রের আলােচনায় এমনভাবে মগ্ন হইয়া পড়িলেন যে তাঁহাকে আইন ব্যবসায় পরিত্যাগ করিতে হইল। বহু পরিশ্রম করিয়া তিনি সারদাতিলক’, ‘প্রপঞ্চসার, ‘কুলার্ণব’, ‘কৌলাবলী নির্ণয়’, ‘তরাজ’, ‘তাভিধান | প্রভৃতি প্রায় বিশখানি গ্রন্থ আগমানুসন্ধান সমিতি হইতে প্রকাশিত করেন। ১৯৩৬ খ্রীষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি ইনি | পরলােকগমন করেন। রবীন্দ্রকুমার দাশগুপ্ত | অটোক্লেভ যন্ত্রবিশেষ। ইহার সাহায্যে কোনও তরল পদার্থকে তাহার স্ফুটনাঙ্কের অনেক বেশি উষ্ণতায় গরম করা চলে। এইরূপ করিতে তরল পদার্থটির উপর বায়ু| মণ্ডলের সাধারণ চাপ অপেক্ষা ২০/৩০ গুণ বেশি চাপ দিবার প্রয়ােজন হয়। পদার্থটি অটোক্লেভে লইয়া তাপ দিলে তাহার উষ্ণতা বাড়ে। অটোক্লেভের ঢাকনা শক্ত করিয়া বাধিয়া দিলে তরল পদার্থ তাপ পাইয়া বাষ্পে পরিণত হইলেও উষ্ণ বাষ্প নির্গত হয় না। তাহাতে অটোক্লেভের ভিতরে বাষ্পের চাপ বৃদ্ধি পায়। | তাপ ও তৎসহ চাপ সহিতে পারে এইরূপ যন্ত্রেব গাত্রাবরণ শক্ত হওয়া দরকার। ভিতরে তরল বা অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থের সহিত যাহাতে যন্ত্রের উপাদানের রাসায়নিক ক্রিয়া না হয়, তাহাও বিবেচনা করা দরকার। অনেক অটোক্লেভ পুরু ঢালাই লােহা বা কলঙ্ক না পড়া | ইস্পাতে তৈয়ারি। যন্ত্রটি সিলিণ্ডার আকৃতির, কোথাও

কোনও জোড় থাকে না। উষ্ণ বাষ্পের চাপে যাহাতে না | ফাটিয়া যায় সেইজন্য গাত্রাবরণ সর্বত্র সমান পুরু করা হয়। ঢাকনা এমন ভাবে স্কু দিয়া আঁটার ব্যবস্থা থাকে যে সিলিণ্ডার ও ঢাকনার যােগস্থান দিয়া যেন উষ্ণ বাষ্প নির্গত হইতে না পারে। সেই জন্য মােটা রবারের চ্যাপ্টা ঢাকা সিলিণ্ডার ও ঢাকনার যােগস্থলে বসাইয়া তারপর ঢাকনা ভ্রু আঁটিয়া বন্ধ করা হয়। | বেশি তাপ পাইয়া বদ্ধ অটোক্লেভ তাপবৃদ্ধিতে ফাটিয়া যাইতে পারে। তাই ইহাতে সেফটি ভ্যাভ, দেওয়া থাকে। উষ্ণতা ও চাপ মাপার ব্যবস্থাও থাকে। আজকাল সহজে স্বল্প সময়ে রান্না করিবার জন্য অটোক্লেভ | জাতীয় কুকার, প্রেসার কুকার প্রভৃতির ব্যবহার প্রচলিত হইয়াছে। ইহাতে জল তাপ পাইয়া স্টিমে পরিণত হয়। স্টিম সিলিণ্ডারে চাপ দেয়। কাজেই বায়ুমণ্ডলের চাপের অধিক

৩৪