পাতা:ভারতকোষ - প্রথম খণ্ড.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

অণহিল পাটক পার্লামেন্ট বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আইনসভা কর্তৃক নিযুক্ত । পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে ঐ বিবরণী আলােচিত। হয় এবং আলােচনান্তে কমিটি পার্লামেন্টের বা রাজ্যের আইনসভার নিকট আপন অভিমত সংবলিত বিবরণী পেশ করেন। সাধারণভাবে এই বিবরণীর উদ্দেশ্য হইল যে সরকারি দপ্তরসমূহ ভবিষ্যতে ঐ ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলি সম্বন্ধে সতর্ক থাকিবেন এবং ঐগুলি দূরীকরণে সচেষ্ট হইবেন। বৃন্দাবনচন্দ্র সিংহ অণহিল পাটক, বাড় এই প্রাচীন নগরী আহমেদ। বাদের ১০৫ কিলােমিটার উত্তরে সরস্বতী নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। বর্তমান নাম পাটন। প্রবাদ এই যে, চাপ বা চাবােকট চোবড়া জাতির রাজা বনরাজ ৭৪৫ খ্রীষ্টাব্দে এই নগরী প্রতিষ্ঠা করিয়া রাজধানী স্থাপন করেন। ৯৪০ খ্রীষ্টাব্দে চৌলুক্যরাজ মূলরাজ গুজরাট অধিকার করিয়া অণহিল পাটকেই রাজধানী প্রতিষ্ঠিত করেন। এয়ােদশ শতাব্দীতে বাঘেল বংশীয় রাজগণ 'গুজরাট অধিকার করেন। তখনও ইহা গুজরাটের রাজধানী ছিল। ১২৯৭ খ্ৰী আলাউদ্দিন খিলজী বাঘেলরাজ কর্ণকে পরাজিত করিয়া এই রাজ্য ও রাজধানী অধিকার করেন। ১৪০৭ খ্রী পর্যন্ত দিল্লীর শাসনকর্তাদের অধীনে ছিল। শেষ শাসনকর্তা মুজাফফর শাহ অণহিল পাটকের প্রথম স্বাধীন সুলতান (১৪ ০৭-১৪ ০৮ খ্রী)। মুজাফফর শাহের পুত্র প্রথম আহমেদ ১৪১২ খ্রী সবরমতী তীরে আহমেদাবাদের প্রতিষ্ঠা করিয়া অণহিল পাটক হইতে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। চৌলুক্য কুমারপালের রাজত্বকালে প্রখ্যাত জৈন বৈয়াকরণ ও অভিধানকার হেমচন্দ্র উক্ত নগরের সম্মানিত অধিবাসী ছিলেন। অণু যৌগিক বা মৌলিক যে কোনও পদার্থের ধর্মাবলী অক্ষুন্ন রাখিয়া তাহার স্বাধীন অস্তিত্বের ক্ষুদ্রতম অংশকে ঐ পদার্থের অণু ( molecule) বলা হয়। একই পদার্থের অণু একই প্রকারের ; বিভিন্ন পদার্থের অণু বিভিন্ন প্রকারের হইয়া থাকে। সােনার অণুগুলি পরস্পর একই প্রকারের, এই জন্য সােনার বিভিন্ন ধর্মাবলী, তাহা ভৌত বা রাসায়নিক যাহাই হউক, প্রকৃতপক্ষে উহার অণুর ধর্ম। অতএব কোনও পদার্থের ধর্ম প্রকৃতপক্ষে উহার অন্তর্নিহিত অণুর ধর্ম। রাসায়নিক অণু সম্বন্ধে বর্তমান বিজ্ঞানীদের। যে ধারণা, তাহার মূলে রহিয়াছে উনবিংশ শতাব্দীতে জে এল, গেলুসাক ও এ অ্যাভাগাড়রাের গ্যাসীয় পদার্থ লইয়া গবেষণা। অণুকে ভাঙিলে উহার মধ্যে ছোট ছােট কণিকার

________________

অণু অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাহাদের পরমাণু বলে। যে বল কোনও অণুর পরমাণুগুলিকে ধরিয়া রাখে তাহাদের মান আন্তরাণবিক বলের মান অপেক্ষা অনেক বড়। অণু কথাটি সাধারণতঃ বৈদ্যুতিকভাবে উদাসীন পরমাণুর সমষ্টির জন্য ব্যবহৃত হইয়া থাকে। যখন পরমাণুর সমষ্টিতে বৈদ্যুতিক আধান থাকে তখন উহাদের আয়ন বলা হয়। কোনও পদার্থ যথার্থ নিরবচ্ছিন্ন নহে, উহাদের মধ্যে ফাক আছে। চাপ বাড়াইয়া বা শৈত্যপ্রয়ােগে পদার্থের আয়তন কমিয়া যায়, ইহার অর্থ তখন উহাদের মধ্যস্থ ফঁাকগুলি ছােট হইয়া যায়। বিপরীত ভাবে, চাপ কমাইয়া বা তাপ প্রয়ােগে পদার্থ আয়তনে প্রসারিত হয়। বা অণুসমূহের মধ্যস্থ ফঁাকগুলি বাড়িয়া যায়। দুই অণুর মধ্যবর্তী এই স্থানকে আন্তরাণবিক স্থান বলা হয়। ইহার কল্পনা প্রয়ােজন, কারণ তাহা না হইলে উপরি-উক্ত ঘটনাগুলির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করা যায় না। সম্ভবতঃ আন্তরাণবিক স্থান ঈথার দ্বারা পূর্ণ। বাহ্য বলের প্রভাবে ঈথারের অবস্থান্তর ঘটে। + ১৬ 1 / হিলিয়াম অণু কারন অণু

বোরন অণু কোনও পদার্থের দুই অণুর মধ্যবর্তী শূন্যস্থান কল্পনা করিয়াই বিজ্ঞানীরা ক্ষান্ত হন নাই, তাহারা আরও অনুমান করেন যে ঐ শূন্যস্থানের মধ্যে অণুগুলি দ্রুত-কম্পনশীল। ফলে অণুগুলির মধ্যে সর্বদাই পরম্পর হইতে বিযুক্ত হইবার একটি স্বাভাবিক প্রবণতা আছে। তাহা হইতেছে না বলিয়া পদার্থের অণুগুলি একটি বল দ্বারা পরস্পর বিস্তৃত থাকে। এই আকর্ষণী বলকে আন্তরাণবিক বল বলা হয়। কঠিন পদার্থে এই বল অত্যন্ত তীব্র, সেইজন্য ইহাদের অণুগুলি পরস্পরের সহিত দৃঢ় আকর্ষণে শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকে। ইহার ফলেই কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন সম্ভব হয়। | তরল পদার্থে আন্তরাণবিক আকর্ষণী বল অনুভবযােগ্য হইলেও অতি দুর্বল। ফলে ইহাদের অণুগুলি কিছু বিচ্ছিন্ন। ইহাদের নির্দিষ্ট আকার নাই। আধার-পাত্র যেরূপ, তরলের আকৃতিও সেইরূপ হইয়া থাকে। | গ্যাসীয় পদার্থে অণুগুলি পরস্পর হইতে আরও

৩৬