পাতা:ভারতকোষ - প্রথম খণ্ড.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

অণুবীক্ষণ যন্ত্র বস্তুর কিছু দূরে রাখা হয়। অভিনেত্র সাধারণতঃ দুইখানা লেন্স দ্বারা গঠিত স্বল্প ফোকাস-দূরত্বের অভিসারী লেন্স। ইহাকে চোখের নিকটে রাখিতে হয়। অভিলক্ষ্য বা অবজেকটিভ তাহার সম্মুখে ঠিক ফোকাস-দূরত্বের বাহিরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুর একটি বাস্তব, বিবর্ধিত ও অবশীর্ষ (inverted ) বিম্ব সৃষ্টি করে। প্রতিবিম্বটি অভিলক্ষ্যের বিপরীত দিকে অভিনেত্রের ফোকাস-দূরত্বের মধ্যে গঠিত হয় এবং ইহা অভিনেত্রের সম্মুখে বস্তুর কাজ করে। সুতরাং লেন্সের বিপরীত দিকে চোখ রাখিলে স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্বে অলীক, বিবর্ধিত এবং সমশীর্ষ প্রতিবিম্ব দৃষ্ট হয়। ফলে, শেষ প্রতিবিম্ব লক্ষ্য সাপেক্ষে অবশীর্ষ হয়। ka. ... +


১. বস্তু ২. অভিলক্ষ। ৩. অভিনেত্র ৪. অভিলক্ষ্যের দ্বারা গঠিত বিম্ব ৫. অভিনেত্র দ্বারা গঠিত বিবর্ধিত বিশ্ব বিবর্ধনক্ষমতা কোনও বস্তুর আপাত আকার— বস্তু-দর্শকের চক্ষুতে যে কোণ উৎপন্ন করে তাহার উপর নির্ভর করে অর্থাৎ উহার রৈখিক আকার এবং চোখ হইতে দূরত্বের উপর নির্ভর করে। কাজেই বস্তু যত চোখের নিকটে, আপাত আকার ততই বড় হয়। কিন্তু স্পষ্ট দর্শনের জন্য বস্তুকে খুব চোখের নিকটে না আনিয়া স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্বে রাখিতে হয়। বস্তু ও বিম্বের দৃষ্টিকোণের উপর বস্তুর আপাত আকার কতটা হইবে, তাহা নির্ভর করে। বস্তুকে লেন্সের সাহায্যে বড় করিবার ক্ষমতাকে বিবর্ধনক্ষমতা বলা হয়। অণুবীক্ষণের বিবর্ধনক্ষমতা লেন্সের ফোকাস-দূরত্বের উপর অনেকটা নির্ভর করে। ফোকাসদূরত্ব কম হইলে বিবর্ধন বেশি হইবে। | বিশ্লেষণক্ষমতাযে ক্ষমতাদ্বারা কোনও আলোক-যন্ত্র দুইটি পরস্পর-নিকটবর্তী বস্তুর একটির বিঙ্গকে অপরটির বিম্বের সহিত না মিশাইয়া উভয়কেই স্পষ্ট দর্শনে সাহায্য করে তাহাকে ঐ যন্ত্রের বিশ্লেষণক্ষমতা ( resolving power ) বলে। বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আলট্রা-অণুবীক্ষণ, ইলেকট্রন-অণুবীক্ষণ প্রভৃতি যন্ত্রের আবিষ্কার হইয়াছে। ইহাদের কার্যপ্রণালী ও সাধারণ বা যৌগিক অণুবীক্ষণের

________________

অতিবেগুনী রশ্মি মত, তবে ইহাদের ব্যবহারে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বহুগুণ। বিবর্ধিত হইয়া সহজেই দর্শকের চোখে দৃশ্যমান হয়। নেপাল চক্রবর্তী অণ্ড ডিম দ্র অণ্ডকোষ শুক্রাশয় পুরুষের মুখ্য জননাঙ্গ ( sexorgan)। ইহা শুক্রাণু (spermatozoa) উৎপাদন করে। এই শুক্রাণুগুলি সংগমকালে শুক্রস্থলী (seminal vesicle) ও প্রােস্টেট গ্রন্থির রসের সহিত মিশিয়া লিঙ্গপথে বাহির হইয়া আসে; এই মিশ্রণকেই শুক্র বলা হয়। শুক্রাণু উৎপাদন ব্যতীত শুক্রাশয় রক্তে টেস্টোস্টেরােন নামক একটি পুং-যৌন হর্মোন ক্ষরণ করে। এই হর্মোনটিই শুক্রস্থলী, প্রােস্টেট প্রভৃতি পুংজননাঙ্গ গুলির উপযুক্ত বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক কার্যশক্তির মূল কারণ। এই হর্মোনের অভাবে ঐ সকল | অঙ্গের বৃদ্ধি ও কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় এবং কীব পর্যন্ত ঘটিতে পারে। পুরুষের গম্ভীর কণ্ঠস্বর, বলিষ্ঠ পেশীবহুল দেহ, শ্মশ-গুম্ফ প্রভৃতি পুং-দেহের বাহ্য বৈশিষ্ট্যগুলিও এই হর্মোনটির প্রভাবেই বিকশিত হয়। পুরুষের যৌনবােধ ও ব্যক্তিত্বও ইহার উপর নির্ভর করে। | শুক্রাণু উৎপাদন ও পুং-যৌন হর্মোনের ক্ষরণ শুক্রাশয়ের এই দুইটি কার্যই পিটুইটারি গ্রন্থির দুইটি হর্মোনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। দেবজ্যোতি দাশ অণ্ডাল পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমায় কয়লাখনি অঞ্চলে রানীগঞ্জের প্রায় ১৬ কিলােমিটার বা ১০ মাইল পূর্বে পূর্ব-রেলপথের উল্লেখযােগ্য জংশন ; বিভিন্ন স্থানে কয়লা প্রেরণের জন্য এই স্থানটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বড় রেল-ইয়ার্ড আছে। অণ্ডাল হইতে পূর্ব-রেলপথের দুইটি শাখা লাইন বাহির হইয়াছে। একটির দ্বারা রানীগঞ্জ কয়লাখনি অঞ্চলের উত্তরাংশের সহিত ও অন্যটির দ্বারা | বীরভূম জেলার সিউড়ি ও সাঁইথিয়ার সহিত অণ্ডালের যােগাযােগ রক্ষিত হইতেছে। কয়লাখনি ব্যতীত সিমেন্ট ও চীনামাটির বাসনের কারখানা, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা, ভাটিখানা ইত্যাদিও এখানে আছে। ১৯৫১ খ্রীষ্টাব্দের জনগণনা অনুযায়ী অণ্ডাল থানার লােকসংখ্যা ৮৬০ ০৮। অমলেন্দু মুখোপাধ্যায় অতিপ্রজত জনসংখ্যা দ্র

অতিবেগুনী রশ্মি আলােক বর্ণালীর যে অংশ চোখে

৩৮