ফ্যাকালটি অফ আর্টস্-এর সভ্য ছিলেন। বঙ্গীয় এশিয়াটিক। সােসাইটিরও তিনি সভ্য ছিলেন। অধরলাল রামকৃষ্ণ পরমহংসের ঘনিষ্ঠ সাহচর্য লাভ করিয়াছিলেন এবং তাঁহার অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন। দ্র সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা ৮৭, কলিকাতা, ১৯৫২ খ্ৰী; শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত।
অধিবাস চন্দন তৈল হরিদ্রা প্রভৃতির দ্বারা আনুষ্ঠানিক অঙ্গসংস্কার। বিবাহাদি সংস্কারকর্মে এবং দুর্গাপূজা দোলযাত্রা প্রভৃতি দেবকার্যে ইহার অনুষ্ঠান হয়। দেবপূজায় পূজার পূর্বদিন সন্ধ্যায় এবং বিবাহাদি ব্যাপারে কার্যের দিন সকালে অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রপূত চন্দনাদি দ্রব্য প্রথমে শাল গ্রাম ও ভূমি স্পর্শ করাইয়া এবং যাহার অধিবাস তাহার কপালে ঠেকাইয়া বিভিন্ন অঙ্গ মার্জনা ( কার্যতঃ স্পর্শমাত্র) করা হয়। অঙ্গের ক্রম এইরূপহৃদয় মস্তক শিখা নেত্রদ্বয় কবচদ্বয় নাভি হস্তাঙ্গুলি ও। পদাঙ্গুলি। অধিবাসের দ্রব্য চন্দন তৈলহরিদ্রা মৃত্তিকা। শিলা ধান্য দূর্বা পুষ্প ফল দধি ঘৃত আতপতঙুল সিন্দুর কজ্জল গােযােচনা ( অভাবে হরিদ্রা) শ্বেতসর্ষপ কাঞ্চন রৌপ্য তাম্র চামর দর্পণ দীপ বরণডাল॥ বিবাহে কন্যার অধিবাসে বরের অধিবাসের অবশিষ্ট চন্দন তৈল হরিদ্রা। কজ্জল ও সিন্দুর ব্যবহৃত হয়।
অধ্যাত্ম রামায়ণ ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণের অন্তর্গত বলিয়া কথিত শিব-পার্বতীর কথােপকথন আকারে বিরচিত সপ্তকাণ্ডাত্মক রামায়ণ। রামকাহিনী-বৰ্ণন প্রসঙ্গে ইহাতে মুক্তির সাধনরূপে রামভক্তির মাহাত্ম্য বিবৃত হইয়াছে। গ্রন্থের ‘রামহৃদয়’ ও ‘রামগীতা অংশ দুইটি রামভক্তগণের মধ্যে বিশেষ প্রসিদ্ধ। গ্রন্থখানি চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতাব্দীর রচনা বলিয়া অনুমিত হয়।
অনগ্রসর শিশু বুদ্ধি দ্র
তানঙ্গপাল ছত্রিশটি প্রধান রাজপুত বংশের অন্যতম তােমর বা ভূয়ার বংশীয় নৃপতি। চারণগীতিতে তাহাকে বর্তমান দিল্লী নগরীর প্রতিষ্ঠাতারূপে বর্ণনা করা হইয়াছে। ‘পৃথ্বীরাজ রাসাে’ নামক বিখ্যাত গ্রন্থে লিখিত আছে যে অনঙ্গপাল তাঁহার দৌহিত্র পৃথ্বীরাজকে দিল্লীর সিংহাসনে তাঁহার উত্তরাধিকারী নির্বাচিত করেন। অবশ্য ইহার সত্যতা সম্বন্ধে সন্দেহের অবকাশ আছে।
অনঙ্গব সিদ্ধাচার্য দ্র
অনধ্যায় আনুষ্ঠানিক অধ্যয়ন বর্জন বা ছুটি। নানা উপলক্ষে শাস্ত্রে অধ্যয়ন বর্জনের বিধান আছে। পঞ্জিকায় অনেকগুলি অনধ্যায়ের উল্লেখ আছে। এখন পর্যন্ত টোলে শাস্ত্রের নির্দেশমত কতকগুলি অধ্যায় মানিয়া চলা হয়। মূলতঃ বেদাধ্যয়ন সম্পর্কে অনধ্যায়ের সূচনা হইলেও অন্যান্য শাস্ত্র সম্পর্কেও ইহার কিছু কিছু প্রচলন দেখা যায়। সাধারণতঃ প্রতিপদ অষ্টমী চতুর্দশী পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় অধ্যয়ন নিষিদ্ধ। এয়ােদশীর দিন রাত্রিতে ব্যাকরণ অধ্যয়ন বর্জনীয়। কোনওরূপ চিত্তবিক্ষেপের কারণ ঘটিলেই অধ্যয়নত্যাগের নির্দেশ ছিল। ঝড়-বৃষ্টি মেঘগর্জন বজ্রপাত উল্কাপাত ভূমিকম্প চন্দ্রগ্রহণ সূর্যগ্ৰহণ ধূলিবর্ষণ অগ্নিকাণ্ড আশেপাশে যুদ্ধারম্ভ যুদ্ধাস্ত্রের শব্দ শ্রবণ প্রভৃতি ব্যাপারে এক বা একাধিক দিন অধ্যায়ের ব্যবস্থা ছিল। কান্নার