বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতপথিক রামমোহন রায়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চারিত্রপূজা (১৯০৭) গ্রন্থে এই প্রবন্ধের একটি পরিমার্জিত পাঠ প্রকাশিত হয়; বর্তমান গ্রন্থেও তাহাই সংকলিত হইয়াছে। সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি রবীন্দ্র-রচনাবলী চতুর্থ খণ্ডে মুদ্রিত।

কলিকাতা রামমোহন লাইব্রেরিতে ১১ আশ্বিন ১৩২৪ (২৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৭) রামমোহন-স্মরণ সভায় রবীন্দ্রনাথ সভাপতির আসন গ্রহণ করেন ও ‘একটি দীর্ঘ বক্তৃতা করেন। দুঃখের বিষয় এই সুন্দর বক্তৃতাটি কেহ লিখিয়া লন নাই।’ তত্ত্বকৌমুদী ও সঞ্জীবনীতে এই বক্তৃতার যে তাৎপর্য প্রকাশিত হইয়াছিল ১৩২৪ কার্তিক সংখ্যা প্রবাসীতে ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’ বিভাগে ‘রাজা রামমোহন রায়’ শীর্ষক প্রসঙ্গে তাহা সংকলিত আছে। সঞ্জীবনীতে-প্রকাশিত তাৎপর্য প্রবাসী হইতে নিম্নে উদ্‌দ্বৃত হইল—

 ‘শিশু মায়ের কোলে বাড়িতে থাকে। প্রত্যেক জাতি তেমনি আপন আপন ভৌগোলিক সীমার মধ্যে বাড়িয়া থাকে। এইরূপ বৃদ্ধি ও পরিণতির প্রয়োজন আছে। এক সময়ে পৃথিবীর সকল জাতি এইরূপ বিচ্ছিন্নভাবে বাড়িয়াছে। কিন্তু এই বৃদ্ধিই চরম বৃদ্ধি নহে। সকল জাতিকেই বিশ্বের মন্দিরে পূজার অর্থ জোগাইতে হইবে।

 ‘আপনারা শুনিয়াছেন যে ফরাসী রাষ্ট্রবিপ্লবের যুগে রামমোহন জন্মলাভ করেন। ঐ বিপ্লবের যুগে যে বিশ্ববাণী ধ্বনিত হইতেছিল তাহা কেমন করিয়া শিশু রামমোহনের প্রাণ স্পর্শ করে আমরা তাহা বুঝিতে পারি না।

 ‘উষার অরুণরশ্মি যেমন উচ্চ শিখরগুলিকে আলোকমণ্ডিত করে, তেমনি সেই যুগে পৃথিবীর কতিপয় মহাত্মা বিশ্ববোধের আলোক

১৪৮