४ ४ २ ভারতবর্ষের ইতিহাস ঐ বিদ্রোহ নিধারণ জন্য তিনি স্বয়ং গমন না করিয়া সৈন্য প্রেরণ করিলেন । তাহার। বিদ্রোহ দমন করিয়; উাহার দুই ভ্রাতু-পুত্রকে বঙ্গদেশে আনয়ন করল । ভিনি তাঁহাদের চক্ষুঃ উৎপাটন পূৰ্ব্বক শিরচ্ছেদন করিলেন । আলাউদ্দীনের এই প্রকার অতি কঠিন শাসন ছিল, কিন্তু তাহতেও রাজবিদ্রোহ একবারে নিবারণ ক্রুয় নাই । দিল্লীনগরে এক মহ; বিদ্রোহ হইয়াছিল, ভদ্ধিৰরণ এই—কোন সন্ত্রান্ত মনুষের হাকিমৌল নামে এক ক্রীতদাস ছিল । ঐ দাস দিল্লী নগরের শান্তিরক্ষকের সঙ্গে কোন বিষয়ে বিবাদস্থত্রে কতকগুলা কীগুজ্ঞান রহিত হট মমুম্বা একত্র করিয়া শান্তিরক্ষকের শিরশেহ্রদান করিল । তৎপরে ঐ সকল লোক সমভিব্য’হারে উক্সতভাৱে যাবতীয় কারাগারস্থ-লোকদিগকে মুক্ত কারয়, রাজ-ভাণ্ডার ও আর আর অনেক স্থান লুণ্ঠন করিল। এবং রাজপরিবারস্থ এক ব্যক্তিকে সিংহাসনে বসাইল । সেই ব্যক্তি রায়ণ হইয়। রাজকৰ্ম্ম করিতে লাগিল, আর সকল লোকের প্রধান হইল । তাহাদিগকে দমন করিবার কোন উপায় রহিল ন । পরে এক রাজ-কৰ্ম্মকারক কোন কৌশলে নগয়ে কভকগুলিন সৈন্য আনয়ন করিয়া হাজি মৌলাকে বধ করিলেন । তাঁহাভে ভাহীর সঙ্গিগণ ছিন্ন ভিন্ন হইয়া পড়িল, যিনি রাজা
পাতা:ভারতবর্ষের ইতিহাস (নীলমণি বসাক) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১১৯
অবয়ব