পাতা:ভারতবর্ষের ইতিহাস (নীলমণি বসাক) প্রথম ভাগ.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের ইতিহাস । سی! عN বেদের আর এক নাম শ্রুতি। যখন লিখিবার প্রথা প্রচলিত হয় নাই, তৎকালে লোকে শ্রবণ করিয়া অভ্যাস করিয়। রাখিত, এই নিমিত্ত বেদকে গুরুক্তি বলে । বেদকে এক্ষণে যেরূপ চারি খণ্ডে ৰিভক্ত দেখা যাইতেছে, প্রথমতঃ এরূপ ছিল না, একমাত্র মুল বেদ ছিল, তাহর নাম যজুঃ । সেই মুল বেদের অন্তর্গত চারি প্রকার বাক্য দ্বারা যজ্ঞের বিশেষ বিশেষ অঙ্ক সম্পাদিত হইত। সেই সকল বাক্য পৃথক পৃথক করিয়া দ্বৈপায়ন ব্যাস, ঋক বাক্য সৰলের নাম ঋগ্বেদ, স' বাক্যের নাম সামবেদ, যজুর্বাক্যের নাম যজর্বেদ, ও অথৰ্ব্ব বাক্যের নাম অথৰ্ব্ব বেদ রাখিয়া, বেদকে চারি খণ্ডে ৰিভক্ত করেন । বেদ বিভাগ করেন বলিয়াই উাহার নাম বেদৰ্যাস হয়। ঋক্, যজুঃ, সাম, এই তিন বেদই যজ্ঞের উপযোগী, এই নিমিত্ত বেদকে ত্রীও বলিয়া থাকে । * সমুদায় বেদই আবার দুই ভাগে বিভক্ত, ব্রাহ্মণ ভাগ ও মন্ত্র ভাগ । ব্রাহ্মণ ভাগে যাগ যঞ্জাদির নান প্রকার ৰিধি নিষেধ আছে, এবং মন্ত্রতাগে বরুণ हेअ স্থর্য প্রকৃতির স্তুতিৰাদ আছে। এক এক‘বেদের সমুদায় মন্ত্রকে সংহিতা বলিয়া থাকে, যেমন, ঋগৃেদসংহিতা, “স্বজুৰ্ব্বেদ সংহিতা, সামৰেদ সংহিতা ও অথর্ববেদ সংহিতা । এইরূপ ব্রাহ্মণ ভাগকে ঋগৃেদ ব্রাহ্মণ,