পাতা:ভারতবর্ষের ভূগোল বৃত্তান্ত.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের ভূগোল বৃত্তান্ত । సెt চীসের বিশেষ উপযোগী, তদ্ভিন্ন উপকূলভাগের অধিকাংশ স্থান রহৎ অরণ্যে ও দুর্গম বনে পরিপূর্ণ। এই দেশ সচরাচর পর্বতাকীর্ণ কিন্তু বড় বড় সমতল ক্ষেত্র বা উপত্যকাও আছে, তাহার মধ্যে মধ্যে অন্তভেদ করিয়া অনেকগুলিন মনোহর ও দেশোৰ্বরকর নদী প্রবাহিত হইতেছে, তত্তাবতের মধ্যে সালউইন, সীতা৯, আভারাণ এবং তানাসরিম নদী প্রধান । প্লাবনাধীন স্থল ব্যতিরেকে প্রায় সমস্ত ভূমিই বহুমূল্য ও প্রকাগু দ্রুমাবলি পূর্ণ নিবিড় বনাচ্ছন্ন । এখানে উৎক্লষ্টতর কয়লা বিস্তর পাওয়া যায় । লৌহ অনেক জন্মে, রাম সচরাচর দেশের সর্বত্রই বিস্তুত । স্বণ, সীসা এবং রসাঞ্জন স্বপে পরিমাণে প্রাপ্তি হয়। মারগুই দ্বীপপুঞ্জের দুই দ্বীপে তাম আবিষ্ণুরুত হইয়াছে। উদ্ভিজ্জ। তুলা, ধান্য, ইক্ষু, তামাকু, পৰ্ণ অর্থাৎ পাণ, নারীকেল, তিল, আনারস, আম, কঁঠাল, কমলা, বাতাবি, জম্বীর ও কলম্বু লেবু তরমুজ, অলার এবং পেয়ারা, উৎপন্ন হয় ; তদ্ব্যতীত সমুদয় অরণ্য ব্যাপিয়া বাহাদুরী কাষ্ঠ জন্মে। এই সকল রাজ্যের সেগুণ কাষ্ঠ অতি উত্তম। বাশ আপন৷ হইতেই উৎপন্ন হয়। চন্দন কাষ্ঠ দক্ষিণ অঞ্চলে এবং মারগুই দ্বীপপুঞ্জের কোন কোন দ্বীপে দৃষ্ট হয়। কপূর রক্ষ এবং নানা জাতীয় মসলা প্রচুর পরিমাণে উদ্ভব হইয়া থাকে। জল-বায়ু উপকূলের জল-বায়ু রোগিদিগের পক্ষে বিলক্ষণ স্বাস্থ্য কর। বর্ষ এবং শুষ্ক এই দুই ঋতুতেই বৎসর অতিবাহিত হয় ; তন্মধ্যে প্রথম উল্লিখিত কাল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুম সমাগমে প্রায় আষাঢ় হইতে আরম্ভ হইয়া কাৰ্ত্তিক পর্যন্ত থাকে, তৎপরেই শেষোক্ত ঋতুর অধিকার । প্রচও