পাতা:ভারতবর্ষের ভূগোল বৃত্তান্ত.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের ভূগোল বৃত্তান্ত । ·8ෆ কারণ নানাপ্রকার নরক-ভোগ এবং ধাৰ্ম্মিকগণের সান্তু নার নিমিত্তে স্বৰ্গ-ভোগ হিন্দুমাত্রেই স্বীকার করিয়া থাকেন। বৌদ্ধ, বৌদ্ধের ভারতবর্ষে এক সময়ে বিলক্ষণ প্রবল ছিল, এক্ষণে কেবল নেপালে, গুজরাটে, রাজপুত্‌নায়, বেহারে এবং সিংহলে দৃষ্ট হয় । বৌদ্ধের নানা সম্প্রদায়ে বিভক্ত, তাহারা পরমেশ্বরকে জগতের সৃষ্ট এবং নিয়ন্ত বলিয়া অঙ্গীকার করেন এবং তাহাদিগের এক সম্প্রদায় জগদীশ্বরের সন্ত পর্য্যন্ত মানেন । অনেকানেক সম্প্রদায় পরমাণুর নিত্যতার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস করিয়া থাকে, এবং তাহাদের স্বভাবসিদ্ধ কলপনা ও জ্ঞান-শক্তি আছে বলিয়া স্বীকার করে । তাহার কহে বুদ্ধ আখ্যানে কতিপয় পবিত্ৰাত্মা উচ্চপদারোহণ পূর্বক অমরত্ব প্রাপ্ত হইয়াছেন । উাহার। বর্তমান ও পূৰ্ব্বতন পৃথিবীতে নানা প্রণালীতে নান যোনী ভ্রমণ করিয়া, আপনাদিগের পুঞ্জ পুণ্যক্রিয়া ও কঠোর ব্ৰতাচর বলে প্রকতির বিরুদ্ধভােব ধারণ পূর্বক সৎগুণ নিযক্রিয় এবং নিশ্চিন্ত অবস্থায় অবস্থিতি করিতেছেন। বুদ্ধ অনেক আছেন, তাহাদিগের অস্তিকতম গৌতম অথবা শাক্যসিংহ খৃষ্টীয় শকের ছয় শত বৎসর পূর্বে বর্তমানধৰ্ম্ম প্রচার করেন। তন্মধ্যে অস্তিক শ্রেণী নেপালে ও নাস্তিক দল সিংহলে প্রবল। বৌদ্ধের বেদ ও পুরাণের প্রভুত্ব অস্বীকার করে, জাতিভেদ মানে না এবং তাহাদিগের পুরুষ ও স্ত্রী উভয় জাতীয় উদাসীনদিগেরই মঠ আছে। তাহার ব্রাহ্মণদিগের অপেক্ষা জীব-জন্তুকে সমধিক মান্য করে অথচ অগ্নির সমাদর করেন। তাহাদিগের ধৰ্ম্মপরায়ণ লোকের মরণ হইলে ঐ মৃত দেহের গৌরব করিয়া থাকে এবং নির্বাণ