পাতা:ভারতশিল্পে মূর্তি.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হইলেও মুখের একটা আকৃতি আছে যেটা বর্তুলাকার দিয়া বোঝানো চলে না; সেইজন্যই বলা হইয়াছে কুক্কুটাণ্ডাকৃতি, কুক্কুটডিম্বের ন্যায় বর্তুল। ইহাতে এইরূপ বুঝাইতেছে যে, মস্তকের দিক হইতে চিবুক পর্যন্ত মুখের গঠন কুক্কুটডিম্বের মতো স্থূল হইতে ক্রমশ কৃশ হইয়া আসিয়াছে এবং মূখ লম্বা ছাঁদের হউক বা গোল ছাঁদেরই হউক, এই অণ্ডাকৃতিকে ছাপাইয়া যাইতে পারে না। এই অণ্ডাকৃতিকেই টিপিয়া-টুপিয়া কুঁদিয়া-কাটিয়া নানা বয়সের নানা মানবের মুখাকৃতির তারতম্য শিল্পীকে দেখাইতে হইবে। তাম্ৰঘট নানা স্থানে টোল খাইলেও যেমন ঘটাকৃতিই থাকে তেমনি নানা ছাঁদের মুখের ডৌল এই অণ্ডাকৃতির ভিতরেই নিবদ্ধ রহে। ঘটের প্রকৃতি যেমন ঘটাকার, মুণ্ডের প্রকৃতিও তেমনি অণ্ডাকার। পানের মতে মুখ, পাঁচের মতো মুখ, এমন কি প্যাঁচার মতো যে মুখ তাহাও এই অণ্ডাকারেরই ইতরবিশেষ।

১০