পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৪
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

পূজা পদ্ধতির বিধান আছে। এইরূপে শিলাখণ্ড আহরণ করিয়া শিলার অভ্যন্তরে সংরুদ্ধ মূত্তির উদ্দেশ্যেও বহুবিধ পূজাপদ্ধতির উল্লেখ আছে।

ধ্যাত্বা শিলং তৎ সংরুদ্ধংসংপূজ্য জুহুয়াত্ততঃ।

 এমনি করিয়া ভক্তি ও শ্রদ্ধা দ্বারা যিনি যথার্থ কেবলমাত্র একস্বরূপ তাহার সাধন-সৌকর্যের জন্য নানা আকার ও অবয়বের মধ্য দিয়া পরিকল্পনা করায় সাধক ও শিল্পী কোনও অপরাধগ্রস্ত হন না।

ভিন্নরবয়বৈৰ্মানযুক্তৈঃ শিষ্টৈ ন দুষ্যতি।
ভক্তিশ্রদ্ধাবশাচ্চৈব সর্ব্বং চার্ণময়ং যতঃ।
এবমেকতমস্যাপি ভক্তিপূর্ব্বস্য বস্তুনঃ॥
সংগ্রহঞ্চ পুরা কৃত্বা কুর্য্যাদাকারমীস্পিতম্।

 এই প্রসঙ্গে ঈশ্বর-সংহিতায় ইহাও উল্লিখিত আছে যে অবয়বাদির পরাপর যথোপযুক্ত সামঞ্জস্য ও মানই সৌন্দর্যের কারণ—

মানোন্মান-প্রমাণানাং অথ সৌন্দর্যসিদ্ধয়ে।

 অর্থাৎ যথোপযুক্ত মানাদির প্রয়োগেই সৌন্দর্যের সিদ্ধি হইয়া থাকে। সৌন্দর্য্য ছাড়া মুর্ত্তির আর একটি ধর্ম্ম তাঁহারা স্বীকার করিয়াছেন, তাহাকে তাঁহারা বলেন লাবণ্য। সৌন্দর্য বা মনোহারিত্ব এবং রূপলাবণ্য এই দুইটী পৃথক্ ধর্ম। এবং একটা থাকিয়া অপরটি নাও থাকিতে পারে।

মনোহারিত্বমেকত্র রূপলাবণ্যভূষিতম
সর্ব্বদা চানয়োর্ব্বিত্ত অন্যোন্যত্বেন সংস্থিতিম।