এই উভয়ের যে কোন ও একটী থাকিলেই সে মূর্ত্তিকে। গ্রহণযোগ্য বলা যায়। তাহা হইলে এই কথা পাওয়া যাইতেছে যে শরীরাবয়বের সামঞ্জস্যের দ্বারা চিত্তের মধ্যে যে একটী বিশেষ অবস্থা উৎপন্ন হয় তাহাকেই সৌন্দর্য্য বলে। লাবণ্যের দ্বারা উৎপন্ন হয় হলাদকত্ব। সৌন্দর্য্য থাকিয়াও হলাদকত্ব না থাকিতে পারে। এই জন্য হাদকত্ব বা সুখকে সৌন্দর্য্যের অবাভিচারি ধর্ম্ম বলিয়া পরিগণনা করা যায় না। অবয়বাদির সামঞ্জস্যের অতিরিক্ত ভাব ও রস ও ব্যাপারাদির যথাৎ সমগ্র পরিস্ফুর্তিতে লাবণ্যের উৎপত্তি হয় এ জন্য অনেক স্থলে অবয়বাদির যথাৎ সামঞ্জস্য না থাকিলেও যদি ভাব রস ব্যাপারাদির স্ফুর্তি থাকে তবে সেই মূর্ত্তি হলদপ্রদ হয়। এবং সেই সেই মূর্ত্তিকে লাবণ্যময়ী বলা যায়। অতএব সৌন্দর্য্য না থাকিয়াও লাবণ্য থাকিতে পারে। ঈশ্বর-সংহিতায় লিখিত আছে—
স্ব-সৌন্দর্যন্তু মানস্য ক্কচিদাক্রম্য বর্ত্ততে।
লাবণাস্য ক্কচিন্মানং সাবচ্ছাদ্যাবতিষ্ঠতে।
যথাভিরূপবান্ লোকে দরিদ্রোহপ্যেতিমান্যতাম্।
বিরূপোহপ্যতিবিত্তাঢ্যো নারূপো নৈব নিৰ্দ্ধনঃ।
★ ★ ★ ★ ★
সা সম্যক্ প্রতিপন্নস্য বিম্বে দৃগ গোচরে স্থিতে।
আমূর্ত্তাহ্লাদয়ত্যাশু জ্ঞাত্বৈবং যত্নমাচরেৎ।
যাহা এইমাত্র বলা হইল তাহার দ্বারা এই কথা মনে হয় যে formal beauty বা অবয়ব সামঞ্জস্যের ফলে চিত্তের যে