পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৬
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

একটি বিশিষ্ট অবস্থা হয় তাহারই অনুভবকে সৌন্দর্য্যবোধ বলা যায়। এই মতের সহিত গ্রীকদের formal beautyর মতের সহিত বিশেষ সাদৃশ্য দেখা যায়। আবার সেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রীকেরা যাহা প্রকাশ করা আবশ্যক মনে করেন নাই, যথা ভাব, রস, এবং, ব্যাপার, তাহাদের প্রকাশ এই মতে সৌন্দর্য্যপদবীতে গৃহীত হয় নাই। কিন্তু সৌন্দর্য্যের সহিত অবশ্য সংযোজ্য লবণাদি ধর্ম্মরূপে তাহাদের প্রকাশ অবশ্য কর্তব্য বলিয়া গৃহীত হইয়াছে।

 আমরা পূর্বেই বলিয়াছি যে শিল্পরত্নে ও চিত্রসূত্রাদি গ্রন্থে রস, ভাব ও ব্যাপার চিত্রে অবশ্য প্রকাশ্য বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। কাজেই ইহাদের সম্বন্ধে ২|১টি কথা বলা আবশ্যক। ভরত তাঁহার নাট্যসূত্রে বলিয়াছেন “বিভাবানুভাবসঞ্চারিভাবযোগাৎ রসনিস্পত্তিঃ”—অর্থাৎ বিভাব, অনুভাব, সঞ্চারিভাবের সহযোগে রসনিষ্পত্তি হয়। রসনিষ্পত্তি শব্দের কি অর্থ তাহা লইয়া আলঙ্কারিকদিগের মধ্যে অনেক বিবাদ আছে। ভট্টললাল্লট প্রভৃতিরা বলেন যে বিভাবাদির সহিত স্থায়ীভাবের সংযোগ হইয়া রসনিষ্পত্তি হয়। যাহাকে লক্ষ্য করিয়া রস উৎপন্ন হয় এবং সেই রসের উদ্দীপক বাহ্য ঘটনাবলী বা বিবিধ প্রাকৃতিক অবস্থাকে যথাক্রমে আলম্বন ও উদ্দীপন বিভাব বলা হয়। শৃঙ্গাররসে নায়কনায়িকা পরস্পরের আলম্বন, বসন্তকাল, জ্যোৎস্নাময়ী রাত্রি প্রভৃতি উদ্দীপক। তনুভাব বলিতে বুঝা যায়, রসাবলম্বী ব্যক্তিদের বা চেষ্টা ও ইঙ্গিত, যাহা দ্বারা একের মনোভাব অন্যের নিকট প্রকট হয়। আর ব্যভিচারী বলিতে বুঝা যায়