পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১০৯

প্রকারের মনোভাব জ্ঞাপন করা যাইত। অভিনয় দর্পণ আটপ্রকার দৃষ্টির কথা বর্ণিত আছে। কিন্তু সমরাঙ্গণ-সূত্রধারের ৮৩ অধ্যায়ে চৌষট্টি প্রকার দৃষ্টির বর্ণনা রহিয়াছে। ইহা ছাড়া নয় রকম মাথা হেলাইবার ও চারিপ্রকার গ্রীবা হেক্সাইবার ব্যবস্থা আছে। ৫১ প্রকারের হস্তভঙ্গীর কথা নন্দিকেশ্বরের অভিনয়-দর্পণে বর্ণিত হইয়াছে। ইহার প্রত্যেক ভঙ্গীতে কি মনোভাব সূচনা করে তাহাও ঐ সমস্ত গ্রন্থে বর্ণিত আছে। তাহা ছাড়া ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র, মাতাপিতা, শ্বশ্রু, শ্বশুর, দেবর, ননান্দৃ, ভ্রাতা, পুত্র, সুষা প্রভৃতির হস্তাক্ষনের বিশেষ ব্যবস্থাও প্রদর্শিত আছে। হাত রাখিবর ভঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টির একটি গাঢ় সম্পর্ক আছে। দৃষ্টির সহিত মনের সম্পর্ক আছে, মনের সহিত ভাবের, এবং ভাবের সহিত রসের সম্পর্ক আছে। তেমনি পাদবিন্যাসের সহিত করবিন্যাসেরও একটি নিয়ত সম্পর্ক আছে। অভিনয় দর্পণে নন্দিকেশ্বর লিখিয়াছেন, “যথা স্যাৎপাদবিন্যাসস্তথৈব করয়োরপি। বামাঙ্গভাগে বামস্য, দক্ষিণে দক্ষিণস্য চ।..... যতো হস্তস্ততো দৃষ্টি যতো দৃষ্টিতে মনঃ। যতো মনস্ততো ভাবে যতো ভাবতে রসঃ॥” ইহা ছাড়া পাদভঙ্গী ও স্থানভঙ্গী ও বিবিধ রীতির কথা উল্লিখিত আছে এবং দশরকম গতির কথাও বর্ণিত আছে, যথা হংসী, ময়ুরী, মৃগী ইত্যাদি। এই সমস্ত শরীরভঙ্গীগুলি নাট্যের অনুভাব। ইহাদের দ্বারা চিত্রেয় বস্তুর হৃদ্‌গত ভাব ও রস প্রকাশ করা যাইত। সাধারণতঃ নাট্যে ৮|৯ রকম রসের