পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১১৩

বাহাদুর রমাপ্রসাদ চন্দ মহাশয়ের Medieval Indian Sculpture গ্রন্থে ইহার প্রতিকৃতি ছাপা হইয়াছে। চণ্ডীতে সিংহের উল্লেখ আছে বটে, কিন্তু কাত্তিক গণেশ প্রভৃতির কোনও উল্লেখ নাই। বাংলাদেশে দশভুজার মূর্ত্তির সহিত তাহাদের সংযোগ শৈল্পিক ব্যবস্থায় অসঙ্গত। পূর্বোক্ত দশভুজার মূত্তির মধ্যে যে একটা শান্ত বীরত্ব আছে তাহা আমাদের চিত্তকে দেবীর শান্ত শক্তির মহত্ত্বে ও উৎসাহে পূর্ণ করে, এবং সেই সঙ্গে সমগ্র মূত্তিটীর অবয়ব-সামঞ্জস্য বস্তুসন্নিবেশ-সামঞ্জস্য ও চারুতা আমাদের হৃদয়ে একটা অলৌকিক আনন্দ উৎপাদন করে। এই চিত্রগত আনন্দ প্রচলিত আটটী রসের আনন্দ হইতে পৃথ জাতীয়। সেইজন্য ইহাকে পৃথগ্ ভাবে স্বীকার করিতে হয়। এই চৈত্রিক আনন্দকে “প্রেমা” বলা যাইতে পারে। অনেকে, নাট্যজনিত যে অষ্টবিধ রসের উপভোগ হয়, তাহাকেও এই চৈত্রিক রসের অনুরূপ বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন এবং ইহাও বলিয়াছেন যে চিত্রে যে উপায়ে চিত্রবস্তুর প্রকাশ হয়, নাট্যরস সম্ভোগও সেই উপায়েই হইয়া থাকে। শ্রীশঙ্কুক বলেন যে, চিত্রে চিত্রেয় বস্তুর রেখাদি দ্বারা অনুকরণ করা হয়; এই অনুকরণপ্রসূত চিত্র বস্তুতঃ চিত্রেয় বস্তু হইতে বিভিন্ন। আবার ইহা তাহা হইতে একেবারে বিভিন্ন নহে। চিত্রেয় বস্তুর ন্যায়ই ইহার প্রতীতি হয়। অথচ তাহা হইয়াও তাহা নহে। এই চিত্রেয় বস্তুর সহিত সাদৃশ্য ও অসাদৃশ্য, এই দ্বিবিধ বিরোধ, চিত্রদৰ্শন সময়ে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হইয়া