পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

মনকে পীড়িত করে না। এইজন্য চিত্রে চিত্রেয় বস্তুর জ্ঞান সম্যক্ জ্ঞানও নহে, মিথ্যা জ্ঞানও নহে, সংশয় জ্ঞানও নহে, সাদশ্য জ্ঞান নহে। ইহা অষ্যপ্রতীতিবিলক্ষণ। প্রতীতি বলিয়াই ইহাকে যুক্তি দ্বারা খণ্ডন করা যায় না। প্রতীতি বলিয়াই ইহা দ্বারা অর্থক্রিয়াও দৃষ্ট হয়। অভিনব গুপ্ত এই মতের ব্যাখ্যা করিতে গিয়া বলিয়াছেন—“সম্যঙ মিথ্যা-সংশয়-সাদৃশ্যপ্রতীতিভো বিলক্ষণা চিত্র তুরগাদিন্যায়েন যঃ সুখী রাম, অসাবয়মিতি প্রতীতিরস্তীতি। তদাহ—

“প্রতিভাতি ন সন্দেহো ন তত্ত্বং ন বিপর্য্যয়ঃ
ধীরসায়মতস্তি নাসাবেবায়মিত্যপি॥
বিরুদ্ধবুদ্ধিসম্ভেদাদবিবেচিতসম্পূ বঃ॥
যুক্ত্যা পর্য্যনুষুজ্যেত ক্ষুন্ননুভবঃ কয়া॥ ”(নাট্যশাস্ত্র ২৭৫ পৃঃ)

শ্রীশঙ্কুক বলেন যে, নাট্যে নট অভিনেয় পুরুষের রসকে অনুকরণ করেন, চিত্রী যেমন অনুকরণ করেন চিত্রেয় বস্তুকে, “অনুকরণরূপো রসঃ”। কাজেই তাহার মতে চিত্রয় বস্তুর অনুকরণের ন্যায় একদিকে যেমন নট অভিনেয় পুরুষের রস অনুকরণ করে অপরদিকে তেমনি দর্শক নটের রস অনুকরণ করে। কিন্তু অভিনব গুপ্ত বলেন যে, নটের পক্ষে অভিনেয় রামাদি পুরুষের রস অনুকরণ করা সম্ভব নহে। প্রত্যক্ষ যাহা দেখা যায় তাহারই অনুকরণ সম্ভব। রোমাঞ্চগদাদির, ভুজক্ষেপ প্রভৃতির ও ভ্রুক্ষেপ কটাক্ষাদির অনুকরণ সম্ভব। কিন্তু রসের প্রাণভূত