পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৬
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

নালিঙ্গিতং) যে একটী ভীত মৃগশাবকের ছবি বিদগ্ধ পাঠকের চিত্তকে অনুরঞ্জিত করে, সেখানে সেই ভয় ব্যাপারটীর সহিতও কোনও দেশকালাদির সংযোগ থাকে না; সর্ব্ববিশেষ-বজ্জিত বলিয়া যখন এই ভয়-স্বরূপটী চিত্তে প্রতিভাত হয়, তখন সেই ভয়ের সহিত পাঠক আপনাকে এক করিয়া দেখিতে পারে এবং কালিদাস বর্ণিত মৃগের ভয় যেন তাহার হৃদয়কে ভয়ার্ত্ত করিয়া তুলে এবং প্রত্যেকের হৃদয়ে ভয়ের যে চিরন্তন বাসনা সুপ্ত হইয়া রহিয়াছে তাহা উদ্রিক্ত হইয়া তাহার পরিপোষক হয়। এই অলৌকিক ভয় হইতে কম্পাদি বিকার উৎপন্ন হয়। তাহাকেই অভিনব গুপ্ত বলিয়াছেন “চমৎকার”। (চমৎকারস্তজ্জোহপি কম্পপুলকোল্লু কসনাদির্বিকারশ্চমৎকার। নাট্য শাস্ত্রটীকা Gaekwad's oriental series পুঃ ২৮১) জগন্নাথ রসগঙ্গাধরে চমৎকার শব্দের সম্পূর্ণ অন্য অর্থ করিয়াছেন। এই প্রসঙ্গেই অভিনব গুপ্ত, বোধ হয় পূর্ব্ব অর্থে অতৃপ্ত হইয়া, চমৎকার শব্দের অন্য আর একটি অর্থ দিয়াছেন। তিনি বলিতেছেন যে, রসভোগকালে মনের যে একটা বিশেষ স্বভাবের দ্বারা রসসাক্ষাৎকার, রসাধ্যবসায়, সংকল্প বা সঙ্গতি ঘটে তাহারই নাম চমৎকার। কালিদাস যেমন শকুন্তলায় বলিয়াছেন, “তচ্চেতসা স্মরতি নূনমবোসপূর্ব্বং; সেখানে এই স্মরণ তার্কিক প্রসিদ্ধ স্মরণ নয়, এটা একটা সাক্ষাৎকার-স্বভাব প্রতিভান –“ভুঞ্জানস্যদ্ভূতভোগাত্মস্পন্দাবিষ্টস্য চ মনঃকরণং চমৎকার ইতি। সচ সাক্ষাৎকারস্বভাবে মনসোহধ্যবসায়ে বা সংকল্লো বা স্মৃতিৰ্বা তথাত্বেন