পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১১৭

ফুরন্নস্তু।” দেশ কালাদির অসংসগিতাই রসের অলৌকিকতা॥ ফলে চমৎকার, রসন, আস্বাদন,ভোগ, সমাপত্তি, লয়, বিশ্রান্তি প্রভৃতি শব্দের দ্বারা একই রসাস্বাদনকে জ্ঞাপিত করা হয়। বর্তমানকালে কাব্যরসের ভোগ সম্বন্ধে নানাবিধ মত প্রসিদ্ধ আছে। সেই মতগুলির সহিত আমাদের দেশের এই মত ও এতজ্জাতীয় অন্য মতগুলির কিরূপ সম্বন্ধ তাহা আমরা প্রবন্ধান্তরে আলোচনা করিব। বর্তমানে আমাদের বক্তব্য এই যে, শ্রীশঙ্কুক ও অভিনব গুপ্তের মতের পার্থক্য এইখানে যে, শ্রীশঙ্কুক বলেন যে, অনুকরণের দ্বারা রসের উৎপত্তি হয়, তার অভিনব গুপ্ত বলেন, বিভাবাদির প্রতীতি দ্বারা ব্যক্তিগতভাবে দেশকালাদি সহযোগে কাব্যবস্তু গ্রহণ করিতে গিয়া যে সমস্ত বিঘ্ন আমরা উৎপন্ন করিতে পারিতাম সেগুলি দূর হওয়াতে দেশকালাদিশিশেষবজ্জিত নাট্যবস্তু ও তাহার রসের ভান হয়। কিন্তু নাট্যবস্তুর রস-ভান সম্বন্ধে বিপ্রতিপত্তি থাকিলেও চিত্রগ্রহণকালে অনুকৃতি সস্তৃত যে একটা রস উৎপন্ন হয় তাহা অস্বীকার করা যায় না। অভিনব গুপ্ত শ্রীশঙ্কুককে তিরস্কার করিতে গিয়া এইমাত্র বলিয়াছেন যে চিত্রে যে প্রণালীতে রস উৎপন্ন হয়, নাট্যে বা কাব্যে সে প্রণালীতে তাহা হইতে পারে না। কিন্তু কতকগুলি অবয়বসন্নিবেশের দ্বারা চিত্রেয় বস্তুর সদৃশ চিত্র অঙ্কন করিলে চিত্রীর হৃদয়ে ও দর্শকের হৃদয়ে যে একটা আনন্দ হয় ও সেই আনন্দও যে লোকোত্তরচমৎকার-প্রাণ ও দেশকাল-বিশেষাদ্যনালিঙ্গিত-স্বভাব, তাহা সর্বজনপ্রতীতিপ্রমাণক। এই জন্যই এই আনন্দকে রস-