পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

 আমাদের দেশে দেবদেবীর যে সমস্ত মূর্ত্তি পরিকল্পিত হইয়াছে তাহাতে দেবদেবীর সহিত মনুষ্যরূপের সাদৃশ্য থাকিলেও সর্ব্বতোভাবে একরূপতা নাই। দুর্গা দশভুজা, ব্রহ্মা চতুর্মুখ, শিব পঞ্চমুখ ইত্যাদি প্রকারে মুখ ও হাতের সংখ্যার নানাবিধ বৈলক্ষণ্য দেখা যায়। তাহা ছাড়া অনেক স্থলেই কোনও দেব বা দেবীর যে মূর্ত্তি গড়িবার পদ্ধতি আছে তাহাতে কোনও বিশিষ্ট পর্য্যায়ের মনোভাবকে রূপের দ্বারা পরিকল্পিত করিবার চেষ্টাই প্রধানভাবে পরিলক্ষিত হয়। সর্ব্বজনবিদিত শিবের ধ্যানটি নিলেই দেখা যায়ঃ-

 “ধ্যায়েন্নিত্যং মহেশং রজতগিরিনিভং চারুচন্দ্রাবতংসং রত্নাকল্পোজ্জলাঙ্গং পরশুমৃগবরাভীতিহস্তং প্রসন্নম্। পদ্মাসীনং সমন্তাৎ স্তুতমমরগণৈর্ব্যাঘ্রকৃত্তিং বসানং বিশ্বাদ্যং বিশ্ববীজং নিখিলভয়হরং পঞ্চবক্ত্রং ত্রিনেত্রম্” এই ধ্যানের মধ্যে দেখা যায় যে শিব কেবল যে রজতগিরিনিভ চারুচন্দ্রাবতংস তাহা নহে তিনি বিশ্বাদ্য বিশ্ববীজ ও নিখিলভয়হর। তাঁহার মূর্ত্তি গড়িতে গেলে পাঁচটি মুখ এবং তিনটি চক্ষু দিলেই হইবে না, সেই মূর্ত্তির মধ্যে এমন ভাবব্যঞ্জনা থাকা চাই যাহাতে মুর্ত্তি দেখিলেই মনে হয় যে