পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১২৭

পাতা, কলাপাতা, এবং গাঁদাপাতার পুরস্পর কি সাদৃশ্য আছে যাহার বলে তাহাদের প্রত্যেককেই পাতা বলে ইহার বিচার করিতে যাই তবে তাহার সঠিক উত্তর দেওয়া বড় সহজ হয় না। অথচ আমাদের চিত্ত আমাদের অজ্ঞাতে তাহাদের দৈশিক প্রতীতি ও সংস্থানের মধ্যে এমন কিছু লক্ষ্য করিয়াছে যাহাতে একটার সাদৃশ্যে অপরটিকে চিনিতে পারে এবং সম্পূর্ণ কোন অজ্ঞাত পাতা দিলেও তাহাকে পাতা বলিয়া চিনিতে ভ্রম হয় না। আবার কোনও শিল্পী যদি নিছক কল্পনার দ্বারা এমন একটি পাতা অঙ্কিত করেন যাহার তুল্য পাতা কোথাও নাই, তথাপি সেই অঙ্কিত পাতাটি দেখিয়া পাতা বলিয়া চিনিতে আমাদের কোনও ক্লেশ হয় না। তবেই দেখা যাইতেছে যে, যে জাতীয় অবয়বসংস্থানকে আমরা পাতা বলি, সেই সংস্থানের মধ্যে যে বিশিষ্টজাতীয় দৈশিক সম্বন্ধ আছে এবং যে ভিন্ন ভিন্ন নানাপ্রকার দৈশিক সম্বন্ধের সংযোগ বিয়োগে একটি পাতার সংস্থান গড়িয়া উঠিয়াছে, সেগুলি একান্তভাবে বস্তুনিষ্ঠ নহে। আমাদের মনের মধ্যে কোনও বিশিষ্ট রীতিতে সেইগুলি আমরা বহুলভাবে পরিবর্তন করিলেও ‘পাতা ' এই সাদৃশ্যবোধটি থাকে। ইহা হইতে প্রমাণ হয় এই, যে আমাদের চিত্ত কেবলমাত্র যে বহির্বস্তুর যথাস্থিত দৈশিক ছাপ গ্রহণ করে তাহা নয় কিন্তু তাহার কোনও বিশিষ্টজাতীয় অন্তর্ব্ব্যাপারে সেইগুলিকে এমনভাবে পরিবর্ত্তিত করিতে পারে যাহাতে বহিঃস্থিত বস্তুর অবয়বের দৈশিক সন্নিবেশে যে জাতীয় সামঞ্জস্য উৎপন্ন হয় অন্তলোকেও সেই জাতীয় সামঞ্জস্য