পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১৩১

রামানুজ সিদ্ধান্তে প্রত্যক্ষ ছাড়া অন্য জ্ঞান পরোক্ষ-পরোক্ষরূপ বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। এবং স্মৃতি ও অনুভবের কোনও প্রভেদ উল্লিখিত হয় নাই। ফলে দাড়াইতেছে এই যে, প্রত্যভিজ্ঞা সংস্কারসহকৃত-প্রত্যক্ষ হইলেও স্মৃতিসমুখাপিত দুইটি বস্তুর সাদৃশ্য বা ঐক্য যখন বর্তমানকালে প্রতীত হইতে পারে তখন সদৃশ প্রত্যয়ের প্রতি সংস্কার বা স্মৃতিকেই অব্যভিচারী কারণ বলিয়া নির্দেশ করা যায়। কিন্তু মূলে প্রত্যক্ষ হইতেই সকল সংস্কারের উৎপত্তি হয়। প্রত্যক্ষের সময় আমরা বস্তু দেখি, তাহার অবয়ব দেখি, অন্যের সহিত তাহার সাহচর্য বা বিরহ দেখি, তাহার নানাবিধ অর্থক্রিয়াকারিত্বের সদ্ভাব ও অসদ্ভাব দেখি, এবং আমাদের অজ্ঞাতে তাহার বিশেষ বিশেষ ছাপ আমাদের মধ্যে থাকিয়া যায়। এই যে অদৃষ্ট এবং অপ্রতীত ছাপ তাহাকেই সংস্কার বলে। আমরা যখন একটা গরু দেখি, তখনও তাহারও অবয়বের ছাপ আমাদের অন্তরের মধ্যে থাকিয়া যায়। কিন্তু সাধারণত আমরা অর্থক্রিয়াসক্ত চিত্ত হইয়া গরুর দ্বারা আমাদের ইদ্যানিষ্টের দিক দিয়া যতটুকু দেখি তাহাতে তাহার অবয়ব সামঞ্জস্যের দিকে আমাদের তেমন দৃষ্টি পড়ে না। কিন্তু একজন চিত্রীর প্রধান আনন্দই সেই অবয়ব সামঞ্জস্যের দিকে। সেইজন্য তিনি যখন গরুটীকে দেখেন তখন সেই বিশেষ সামঞ্জস্যর দিকেই তাঁহার হৃদয় ও চিত্র আকৃষ্ট হয়। ফলে তিনি যেরূপ সমগ্র অবয়বের সহিত গরুর রূপটীকে ধ্যানারূঢ় করিতে পারেন; সেইরূপ অন্তরে তাহার রূপকে প্রত্যক্ষায়মাণ করিতে পারেন অন্যে তাহা পারে না। সেইজন্যই অন্যের পক্ষে