প্রতীতি উৎপন্ন হয় তখন সদৃশপ্রত্যয় বলা হয়। সাদৃশ্য বলিতে আমরা প্রধানতঃ সদৃশের ধর্ম্ম বুঝি কিন্তু নৈয়ায়িক পরিভাষায় সাদৃশ্য বলিতে বুঝা যায় সদৃশপ্রত্যয়োৎপত্তিহেতু। এই সদৃশপ্রত্যয়োৎপত্তিহেতু, প্রত্যক্ষ স্থলে একদিকে বর্তমান বস্তু কিংবা তাহার অবয়বের বিভিন্ন অংশ এবং অপরদিকে অনুষ্যত অন্য বস্তু বা পুরোবত্তি বস্তুরই অনাবৃত দুইটি অংশ। বহিবস্তুর দ্বারা যে রূপ গৃহীত হইয়াছে সেই রূপের সহিত অনুস্যুত বস্তুটির যে চিত্র মনে উঠিয়াছে এই উভয়ের মধ্যে আমাদের চিত্ত যদি তাহাকে একই লীলায় ব্যাপারবান্ করিয়া তোলে এবং দুইটি যদি পরস্পর বিরূদ্ধ হইয়া না দাঁড়ায় তাহা হইলে অন্তরের মধ্যে যে ঐক্যচ্ছন্দ প্রতীত হয় তাহাকেই সদৃশপ্রত্যয় বলা হয়। সামঞ্জস্য স্থলেও এই একরকমেরই চিত্তবৃত্তি হইয়া থাকে। চিত্তব্যাপারের একটী লীলা আছে, যাহাতে তাহা লতার ন্যায় লীলায়িত হইয়া বহুর মধ্য দিয়াও আপনার ঐক্যের পরিচয় পাইয়া আপনার মধ্যে আপনাকে লাভ করিয়া চলিতে থাকে যেখানে বহুত্বের দ্বন্দ্ব জাগ্রত হইয়া উঠে না, সেখানে দ্বন্দ্বের অংশ অপ্রধান এবং ঐক্যের অংশ প্রধান। চিত্তের আর একটী ব্যাপার আছে যেখানে দ্বন্দ্বের অংশ প্রধান হয় এবং তাহার ফলে চিশক্তির নববদ্বোধ হইয়া চিত্ত সেই দ্বন্দ্বকে অতিক্রম করিয়া দ্বন্দ্বায়মান দুইকে একটা নূতন তাৎপর্যের মধ্যে এক করিয়া সেই একের মধ্যে নিজের সাম্যলাভ করে এবং পুনরায় দ্বন্দ্বসৃষ্টি করিয়া দ্বন্দ্বায়মান দুইকে পরে একটী ঐক্যের ভূমিতে লইয়া যায়। Hegel চিত্তের
পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১৩৫