পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

এই উৎপত্তির সময়ে ইহা অনেক সময়ে জ্ঞাতচিত্তের ধ্যানধৃতরূপকে অতিক্রম করিয়া যায়। কাজেই জ্ঞাতচিত্তের মধ্যে অন্বেষণ করিয়া ইহার পদ্ধতি, প্রণালী বা প্রেরকতার স্বরূপ নির্ণয় করা যায় না। চিত্ত যেমন ফুটিয়া উঠিতে থাকে তাহার সঙ্গে সঙ্গে অন্বীক্ষামূলক চিত্তবৃত্রি যাহার দ্বারা আমরা জ্ঞান যুক্তিতঃ বিচার করি তাহাও অলস হইয়া থাকে না। তাহাও জাগ্রত হইয়া উঠিয়া ক্রিয়মাণ সৃষ্টির দোষ, গুণ, সামঞ্জস্য, অসামঞ্জস্য প্রভৃতির সম্বন্ধে মতামত প্রকাশ করিতে থাকে। সেই মতামতের সহযোগিতায় সংস্কারীয় অভিব্যঞ্জনা ও ধ্যানধৃতরূপের আত্মপ্রকাশের চেষ্টা সংযন্ত্রিত ও পরিবর্ধিত হইতে থাকে। আমাদের হাতের ক্রিয়াকুশলতার সহিত সংস্কারের অভিব্যঞ্জকতা ও ধানধৃতরূপের আত্মপ্রকাশের চেষ্টার সম্পূর্ণ একতানতা অত্যন্ত দুর্লভ। এইজন্যই সংস্কারের অভিব্যঞ্জকতাকে আমাদের হাত সব সময় প্রকাশ করিতে পারে না, আমাদের ভাষা সব সময়ে আমাদের মনের ঠিক বিশেষ ভাবটুকু ফুটাইয়া তুলিতে পারে না। হাত ও অন্তর্মনের সহিত এই যে একতার অভাব এবং তৎপ্রযুক্ত যে সমস্ত দোষ উৎপন্ন হয় তাহাকেই সংশোধন করিতে চেষ্টা করে অন্বীক্ষাবৃত্তিমূলক জ্ঞাতমনোবৃত্তির বিচারপদ্ধতি। এই বিচারপদ্ধতি আপন সৃষ্টির দোষ দেখাইয়া চিত্তের সংস্কারানুযায়িভাবে হাতকে নিয়ন্ত্রিত করাইবার চেষ্টা করে। এইজন্য চিত্রাঙ্কণ পদ্ধতিতে প্রথম চাই যথাৎ পর্যবেক্ষণ। তাই শুক্রনীতিসারে লিখিত আছে