পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১৩৯

যদরূপংকর্তৃমুদযুক্ত স্তম্বিং বীক্ষা সর্ব্বতঃ
অদৃষ্টং যস্য যরূপং ন কর্ত্তুং ক্ষমতে হি তৎ। (পৃষ্ঠা ৫২৪)

অর্থাৎ যাহার যে রূপ তাহা চিত্রী প্রথমতঃ যত্নের সহিত পর্যবেক্ষণ করিবে। সমরাঙ্গণসূত্রধারে ২৩৪ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে, যে শিল্পী বহুশাস্ত্র অধ্যয়ন না করিলে এবং কার্যদক্ষ না হইলে শিল্পকার্য্য সুসম্পন্ন করিতে পারে না—

শাস্ত্রং কর্ম্ম তথা প্রজ্ঞা শীলং চ ক্রিয়য়ান্বিতম্
লক্ষ্যলক্ষণযুক্তার্থশাস্ত্রনিষ্ঠা নরোভবেৎ।
সামুদ্রং গণিতঞ্চৈব জ্যোতিষং ছন্দ এব চ
শিরাজ্ঞানং তথা শিল্পং যন্ত্রকর্ম্মবিধিস্তথা।

অর্থাৎ যিনি চিত্রী বা শিল্পী হইবেন, তাঁহার যেমন শাস্ত্রজ্ঞান থাকা আবশ্যক তেমনি কর্ম্মে দক্ষ থাকা প্রয়োজন, তেমনি প্রজ্ঞা বা intuition থাকা প্রয়োজন এবং চরিত্রসম্পদে ও বহুশিতায় ও বহুক্রিয়াকরণে অভ্যস্ত হওয়া প্রয়োজন। চিত্রাদিশাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া এই সমস্ত শাস্ত্রের প্রতিপাদ্য বিষয়ে তাঁহাকে অভিজ্ঞ হইতে হইবে। স্থপতি বা শিল্পীকে সামূদ্রশাস্ত্র, গণিত, জ্যোতিষ, ছন্দ এবং মনুষ্যাদি শরীরের শিরা, পেশী, স্নায়ু প্রভৃতির অবস্থান ও পরিমাণ আদি সম্বন্ধে বিচক্ষণ হইতে হইবে। কেবল শাস্ত্র জানিয়া শিল্পী হইতে গেলে ভীরু যেমন রণশাস্ত্রজ্ঞ হইয়াও যুদ্ধ দেখিয়া মূৰ্ছিত হইয়া পড়ে, সেইরূপ শিল্পীও স্বকার্যে অসমর্থ হয়।

যন্তু কেবলশাস্ত্রজ্ঞঃ কর্ম্মস্বপরিনিষ্ঠিতঃ
স মুহতি ক্রিয়াকালে দৃষ্টাভীরুরিবাহবম্।