পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১৪৩

যথার্থ বস্তুকে গ্রহণ করা যায়। তাহার পর উহাপোহের (judgment) দ্বারা সেই সম্বন্ধে আমাদের মন সজাগ হইয়া ওঠে। তাহার পর সেই বিষয়ে পুনঃ পুনঃ অভিনিবেশের দ্বারা তাহার সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য রচনা করা যায়। বিদ্যাবৃদ্ধদের সহিত সংলাপের দ্বারা এতাদৃশ রচনাকে আমৃততুল্য করা যায়—

“প্রথতি পুরঃ প্রজ্ঞাজ্যোতির্যধার্থপরিগ্রহে
তদনু জনয়তূহপোহক্রিয়াবিশদং মনঃ।
অভিনিবিশতে তম্মত্তত্ত্বং তদেকমুখোদয়ং
সহ পরিচয়ো বিদ্যাবৃদ্ধৈঃ ক্রমাদমৃতায়তে।” (পৃঃ ১১)

 ইনি শ্যামদেবের মত উদ্ধত করিয়া আরও বলিয়াছেন যে কাব্যকর্ম্মে কবির সমাধি বিশেষভাবে ব্যাপারবান্ হইয়া উঠে। মনের একাগ্রতাকেই বলে সমাধি এবং সমাহিতচিত্তই যথার্থবস্তু সাক্ষাৎকার লাভ করিতে পারে—“কাব্যকর্ম্মণি কবেঃ সমাধিঃ পরং ব্যাপ্রিয়তে ইতি শামদেবঃ মনস একাগ্রতা সমাধিঃ সমাহিত চিত্ত অর্থা, পশ্যতি।” একটী প্রাচীন শ্লোক উদ্ধত করিয়া তিনি আরও বলিতেছেন যে সাধারণতঃ সত্বস্তুর জানাতেই চিত্তের কার্য পরিসমাপ্ত হয়। কেবলমাত্র সমাধিই সারস্বত মহারহস্যকে উদ্ঘাটন করিতে পারে—

সারস্বতং কিমপি তৎ সুমহারহস্যম
যগোচরে য বিদুষাং নিপুণৈকসেব্যম।
তৎ সিদ্ধয়ে পরময়ং পরমোহভপায়ে
যচ্চেতসো বিদিতবেদ্যবিধে সমাধিঃ। (পৃঃ ১২)