পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৮
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

ভাবাভিনিবেশের দ্বারা চিত্রটী প্রাণময় ভাবময় ও রসময় হইয়া উঠে সেই ভাবরসের দৃষ্টিকে ও প্রাণপ্রদ দৃষ্টিকে সমরাঙ্গণ সূত্রধারে প্রজ্ঞা বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। অবশ্য অজ্ঞাতস্য প্রজ্ঞাত্রী এই লক্ষণের মধ্যে ভাবদৃষ্টি ও রসদৃষ্টিকেও আমরা অন্তর্ভুক্ত করিতে পারি। কিন্তু মনে হয় যে প্রজ্ঞার যে দৃষ্টি সেটী একটী অস্ফুট আলোকের ন্যায়। বাসনার বিদুরভূমি হইতে রত্নশলাকার ন্যায় তাহা প্রোদ্ভিন্ন হইয়া উঠে। কালিদাস যেমন শকুন্তলায় লিখিয়াছেনঃ—

“তচ্চেতসা স্মরতি নূনমবোধপূর্ব্বং
ভাবস্থিরাণি জননান্তরসৌহৃদানি”।

 এই প্রজ্ঞাদৃষ্টি যেন বাসনা প্রসূত সেই অবোধপূর্ব্বস্মরণ। ন্যায়মঞ্জরীতে জয়ন্ত প্রতিভা বলিয়া একটী প্রমাণের কথা উল্লেখ করিয়াছেন। আমাদের অনেক সময় হঠাৎ মনে এইরূপ উদয় হয় যে আজই আমার ভ্রাতা আসিবে। এবং সেইদিনই হয়ত ভাই আসিয়া উপস্থিত হয়। এই যে অনাগত বিষয়ে হঠাৎ আমাদের বিনা কারণে জ্ঞান হয়, ইহাকেই প্রতিভা বলিয়া একটী স্বতন্ত্র জ্ঞান রূপে জয়ন্ত নির্দ্দেশ করিয়াছেন। ইহা ছাড়া কোন বাক্য শুনিয়া যে তাহার অর্থানুরূপ কাহারও মনে ভয়, কাহারও মনে বিরক্তি, কাহারও মনে বা অন্যবিধ ভাব উদ্রিক্ত হয়, এই যে বাক্যানুরূপ ভাবোদ্ভাস বাক্যার্থের উপলব্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ পায়, তাহাকেও জয়ন্ত একস্থলে প্রতিভা বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন (ন্যায়মঞ্জরী ৩৬৬ পৃঃ)। অন্যান্য স্থান পর্য্যালোচনা করিলেও দেখা যায় হঠাৎ যাহা মনের মধ্যে ভাসিয়া উঠে অথচ