পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১৪৯

তাহার কারণ বলা যায় না তাহাকে প্রতিভা বলা হয়—যেমন মহাভারতে আছে “প্রতিভা নাস্তি মে কাচিৎ ত্বাং ব্রূয়ামনুমানতঃ”। এই সমস্ত স্থল পর্য্যালোচনা করিলে মনে হয় যে আমাদের অজ্ঞাত সংস্কার হইতে যে দুর্জ্ঞেয় কারণে হঠাৎ জ্ঞানরশ্মি উদয় হয় তাহাকেই প্রতিভা বলা যায়। প্রতিভার এই অর্থ গ্রহণ করিলে রাজশেখরোক্ত প্রজ্ঞার সহিত ইহা অভিন্ন হয়। রাজশেখরোক্ত প্রতিভার অর্থ পূর্ব্বেই বলা হইয়াছে। শিল্পশাস্ত্রোক্ত প্রজ্ঞাশব্দের অর্থও বলা হইয়াছে। প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব অনেকটা প্রতিভার ন্যায়। ইহাও হঠাৎ সংস্কার হইতে উৎপন্ন হয় এবং স্মৃতি হইতে বিভিন্ন। প্রতিভা, প্রজ্ঞা, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব প্রভৃতি আলোচনা করিলে নিঃসংশয়রূপে এই প্রতীতি জন্মে যে স্মৃতি ছাড়া সংস্কার দুর্জ্ঞেয় উপায়ে নূতন জ্ঞান সৃষ্টি করিতে পারে। এই যে সংস্কারের সৃষ্টি তাহা যে কেবল জ্ঞানাকারে উদ্ভাসিত হয় তাহা নহে—তাহা নানাবিধ ভাব ও রসাকারেও আপনাকে অভিব্যক্ত করিতে পারে। শিল্পী যখন সমাধিদ্বারা চিত্রেয় বস্তুকে হৃদয়ের মধ্যে বিধারণ করেন তখন সেই সন্দোহ যে আনন্দধারায় তাহার হৃদয়কে অভিষিক্ত করে এবং যে আনন্দের বলে তিনি সমাধিকে দৃঢ় করিতে পারেন তাহাও সম্ভবতঃ এই সংস্কার হইতেই উৎপন্ন হয়। চিত্তের মধ্যে একদিকে যেমন সংস্কার স্মৃতি ও সমাধির ক্রিয়া চলিতে থাকে সেই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনের ঊহাপোহবৃত্তি (judgement)ও চলিতে থাকে ও তাহার ব্যাপারের দ্বারা সমাধিধৃত রূপকে সংস্কৃত ও পরিষ্কৃত করিতে থাকে। এমনি