পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

করিয়া আমাদের চিত্তের নানাবৃত্তির সহযোগে যে অভিনব সৃষ্টি প্রক্রিয়া চলিতে থাকে তাহা যখন চিত্রপটে সঞ্চারিত হইতে থাকে তখনও সেই সৃষ্টি চিত্রীর নয়নগোচর হইয়া তাহার প্রতিক্রিয়ায় নূতন নূতন উহাপোহবৃত্তি উদ্বুদ্ধ করে ও নূতন নূতন ভাবে আমাদের স্মৃতি ও সংস্কারকে উদ্বোধিত করে; তাহার ফলে যে নূতন প্রতিক্রিয়া অন্তর হইতে উৎপন্ন হয়, তাহাদ্বারা অনুপ্রেরিত হইয়া চিত্রী তখন চিত্রকে সংশোধন করিতে থাকেন ও নানা উন্মেষে তাহাকে উজ্জীবিত করিতে থাকেন। যিনি চিত্র দেখেন তাঁহারও মনে চিত্র দেখিয়া চিত্রিসজাতীয় বহুধা বিমিশ্র অন্তর প্রক্রিয়া চলিতে থাকে; তাহার বিশিষ্ট সংস্কার বাসনা দ্বারা সংস্কৃত হইয়া তাহার মধ্যে চিত্রীর চিত্তকে নূতন করিয়া সৃষ্টি করে এবং এই সৃষ্ট চিত্রের আনন্দে তাহাকে অভিষিক্ত করে। কাব্যের সম্বন্ধেও এই একই প্রকারের পদ্ধতি ঘটিয়া থাকে। এই ব্যাপারটীকে রাজশেখর নাম দিয়াছেন ভাবয়িত্রী-প্রতিভা। কেহ কেহ বলেন যে কারয়িত্রী-প্রতিভা ও ভাবয়িত্রী প্রতিভা একই জাতীয়। আবার অন্য অনেকে বলেন যে কারয়িত্রী ও ভাবয়িত্রী প্রতিভা দুইটী বিভিন্ন প্রকারের, কেহ বা বলেন যে প্রতিভার তারতম্যানুসারে তাহাকে কারয়িত্রী বা ভাবয়িত্রী বলা যায়। কেহ কেহ বা ইহা একান্তভাবে অস্বীকার করেন।

‘কশ্চিদ্বাচং রচয়িতুমলং শ্রোতুমেবাপরস্তাং
কল্যাণি তে মতিরুভয়থাবিস্ময়ং নস্তনোতি।