পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৪
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

দেখি যে যাহা আমাদের আন্তরবৃত্তির বিশেষ বিশেষ দাবীকে বিশেষ বিশেষ ভাবে পূরণ করে তাহা সেই বিশেষ বিশেষ ভাবে সত্তাসম্পন্ন। আমরা চিন্তা করি, চিন্তা না করিলে আমাদের মনোবৃত্তি স্তম্ভিত হইয়া যায়, তাই মানিতে হয় যে জ্ঞান আছে। আমাদের জ্ঞান চায় একটা বিশেষজাতীয় স্ববিরোধপরিহার বা non-contradiction, তাই মানিতে হয় যে সত্যের স্বভাব অবিরোধ—that truth is non-contradiction. আমাদের চক্ষুরিন্দ্রিয় চায় রূপ, তাই আমরা মানি রূপের সত্তা! আমাদের সৌন্দর্য্যবৃত্তি চায় সৌন্দর্য্যের সৃষ্টি বা সৌন্দর্য্যের উপভোগ তাই মানিতে হয় সৌন্দর্য্যোপভোগের সত্তা, সৌন্দর্য্যসৃষ্টির সত্তা ও সৌন্দর্য্যের সত্তা। আমরা চক্ষুরিন্দ্রিয় দ্বারা রূপ দেখি, তাই রূপের অস্তিত্ব মানি। স্পর্শেন্দ্রিয়ে কাঠিন্যাদি বোধ করি সেইজন্য কাঠিন্যাদিধর্ম্মের বাহ্যসত্তা মানি। আমরা শ্রবণেন্দ্রিয় দ্বারা শুনি, তাই শব্দ মানি, স্বরলহরী মানি, সঙ্গীত মানি। এক ইন্দ্রিয়ের দ্বারা যে সত্তা গ্রহণ করি অন্য ইন্দ্রিয় দ্বারা তাহার অস্তিত্বের কোন প্রমাণ পাই না। চক্ষু দিয়া রূপ দেখি বটে কিন্তু সত্যই রূপের সত্তা আছে কি না সে সম্বন্ধে সন্দেহ হইলে স্পর্শ দ্বারা তাহার কোন নূতন প্রমাণ সংগ্রহ করিতে পারি না। স্পর্শেন্দ্রিয় দ্বারা যাহা পাই তাহা কেবলই স্পর্শেন্দ্রিয়গ্রাহ্য। চক্ষুরিন্দ্রিয় দ্বারা যাহা দেখি তাহা কেবলই চক্ষুরিন্দ্রিয়ায়ত্ত। বস্তুর সত্তা ও সত্যত্ব লইয়া আমাদের দেশে ও অন্যদেশে অনেক বিচার চলিয়াছে। কিন্তু কোন ইন্দ্রিয় নির্দ্ধারিত সত্তাকে তদ্‌গত