পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১৫৫

নির্ধারণের পৌনঃপুন্যজনিত “ইহা ইহাই” এইরূপে ছাড়া অন্যরূপে তাহার সত্যত্ব বুঝিবার কোন উপায় নাই। চক্ষুতে দেখিলাম নীলরূপ। বোধ হইল নীলরূপের সত্তা। বারবার সেই বস্তুর সম্মুখে পার্শ্বে দূরে নিকটে গিয়া দেখিয়া যদি নীলরূপেরই প্রতীতি হয় এবং যদি আমরা নিঃসন্দেহ হই যে এই নীলরূপ আমাদের কোন চাক্ষুষ দোষে উৎপন্ন হয় নাই কিম্বা পরিপার্শ্বগত কোন বস্তুর বিড়ম্বনায় যদি তাহার উৎপত্তি না হইয়া থাকে তাহা হইলে আমরা বলি যে যে নীলসত্তার প্রতীতি হইতেছে তাহা সত্য। অর্থাৎ নীল প্রতীতিও সত্য, ও নীলের বহিঃসত্তাও সত্য। সর্ব্বত্রই অন্তঃপ্রতীতির সত্যতা বলেই বহিঃসত্তার সত্যত্ব অঙ্গীকার করি। যে ইন্দ্রিয় দ্বারা যে প্রতীতি জন্মে তদিতরেন্দ্রিয় দ্বারা তাহার পর্য্যনুযোগ সম্ভব নহে। আমাদের সমস্ত জ্ঞান বিজ্ঞান ক্রিয়ার সহিত আমাদের যান্ত্রিক জীবনের একটা গূঢ় সম্বন্ধ রহিয়াছে। অতি নিম্নস্তরের জীব হইতে আরম্ভ করিয়া আমরা যতই উপরের দিকে আসিতে থাকি, ততই দেখি যে সেই সেই জীবনের প্রয়োজন অনুসারে সেই সেই জীবনের বিশিষ্ট জাতীয় ইচ্ছা উৎপন্ন হইয়া তাহাকে তাহার পারিপার্শ্বিক জগতের সহিত সম্বদ্ধ করিয়াছে। জীবনের গতির মধ্যে যে একটী অব্যক্ত অন্তর্লীলা চলিয়াছে তাহাই সেই জীবের নিকট বিভিন্ন জাতীয় স্ফুট বা অস্ফুট ইচ্ছারূপে প্রতিভাত হয়। এবং সেই ইচ্ছার ফলেই এবং সেই ইচ্ছার অনুরূপ পদ্ধতিতেই তাহার সহিত জগতের যোগ হয়। এই যোগের ফলে নানা অনুভূতি উদ্রিক্ত হয় এবং সেই