পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

দুষ্যন্তের চিত্রে পার্বত্য দেশটি নতোন্নত হইয়াই দেখা দিয়াছে। বিদূষক বলিতেছে “খলতি বিয় মে দিট্টিনিন্নোন্নতপদেসেসু।” তাহা ছাড়া একটি চিত্র একক না হইয়া অন্যের সহিত মিলিত হইয়া প্রকাশ পাইলে তাহার যথার্থ বৈশদ্য প্রকাশিত হয়। এইদিক দিয়া composition বা বহু ব্যক্তির অবস্থান ব্যবস্থার দিকেও দৃষ্টি ছিল। তাহা ছাড়া আর একটি বড় জিনিষের দিকে দৃষ্টি ছিল, তাহা এই যে, মানুষকে আঁকিতে গেলে প্রকৃতির আবহাওয়ার মধ্যে ছাড়া তাহাকে ফুটাইয়া তোলা যায় না। এই অনুসারেই দেখা যায় যে শকুন্তলাকে আঁকিবার সময় কেবলমাত্র যে সখীদের প্রয়োজন হইয়াছিল তাহা নয়, প্রয়োজন হইয়াছিল মালিনী নদীর, তাহার শুভ্র বালুতটে ঈষদ্দৃশ্যমান হংসমিথুন, অপরদিকে হিমালয়ের শিখর ও তাহার প্রান্তদেশে নানাস্থানে উপবিষ্ট হরিণ, শাখা-লম্বিত বল্কল আশ্রমতরু ও তাহার নীচে আশ্রমমৃগীর কৃষ্ণমৃগের শৃঙ্গে বামনয়নের কণ্ডুয়ন। তাহা হইলেই দেখা যাইতেছে যে গ্রীকদের মধ্যে মনুষ্যমূর্ত্তি নির্ম্মাণের যেরূপ যথাযথ অনুকরণের দিকেই প্রধান দৃষ্টি ছিল, ভারতবর্ষের চিত্রনির্ম্মাণ পদ্ধতিতে তাহা ছিল না। একদিকে যেমন ছিল যথাযথের দিকে দৃষ্টি, অপরদিকে তেমনি ছিল জীবনের ও ভাবের অভিব্যক্তি, আর এই দুইটিকে প্রকাশ করা হইত রচনাসন্নিবেশে, দেশবিনিবেশব্যবস্থায় ও অন্তরঙ্গ প্রকৃতির আনুষঙ্গিক অভিব্যক্তিরূপে। ভারতবর্ষীয় চিত্রশিল্পে ও ভাস্কর্য্যে সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের একটি বিশেষ নির্দ্দিষ্ট মান রক্ষিত হইত। এই মানকে বলা হইত ‘তাল'। আশ্চর্য্যের বিষয় এই